জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় ধান জমিতে পানি দেয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনায় বাবুল শেখ নামে এক যুবলীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ দুই নারীসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।
নিহত বাবুল শেখ (৩৫) মেলান্দহের সাধুপুর গ্রামের মুনসব আলী শেখের ছেলে। সে নয়ানগর ইউনিয়ন যুবলীগের ৭ নং ওয়ার্ডের সভাপতি।
পুলিশ জানায়, গত রবিবার সন্ধ্যায় বাবুলের চাচাত ভাই নন্দ শেখের ছেলে সোলায়মানের সাথে জমিতে পানি দেয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডার জের ধরে বাবুলের লোকজন সোলায়মানকে মারধর করে। এর জের ধরে পরদিন সোমবার সকাল ৮টার দিকে আবারো সোলায়মানের লোকজনের সাথে বাবুলের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে সোলায়মানের পক্ষ নিয়ে প্রতিবেশি শরাফত আলীর স্বজনরাও এগিয়ে আসলে সংঘর্ষের রূপ নেয়। সংঘর্ষে বাবুল শেখের মাথায় আঘাত লাগলে গুরুতর আহত হয়। এ সময় স্থানীয়রা বাবুলকে উদ্ধার করে প্রথমে মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে জামালপুর ও ময়নসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেও তার অবস্থার অবনতি হলে সোমবারই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাবুল মারা যায়।
এ ঘটনায় সোমবার রাতেই বাবুলের ভাই মুক্তি শেখ বাদি হয়ে মেলান্দহ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মেলান্দহ থানা পুলিশ সাধুপুর গ্রামের শরাফত আলী ছেলে বাদশা মন্ডল (৩০), তয়েজ মন্ডলের ছেলে শরাফত আলী ফেকু (৫৫), লাল মিয়ার স্ত্রী শেফালী বেগম (৩৫) ও সরাফত আলীর স্ত্রী সফুরা খাতুনকে (৪০) গ্রেফতার করে।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, রাতেই অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার