সীমান্তবর্তী মানুষের যাওয়া-আসায় রংপুরে করোনার ভারতীয় ধরন সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে। বুড়িমারীস্থল বন্দরসহ সীমান্ত এলাকা থেকে প্রতিদিন চিকিৎসাসহ হাজারের বেশি মানুষ রংপুর নগরীতে আসছে। তাদের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ আরো বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারে এমনটাই আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিভাগ। রংপুরে করোনা শনাক্তের হার ১৬ শতাংশের বেশি হয়েছে।
জানা গেছে, বুড়িমারী-বাংলাবান্ধাসহ বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন প্রযোজনে রংপুরে আসা যাওয়া করছেন। সীমান্তে যারা বৈধ পথে দেশে আসছেন সে সব মানুষকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হলেও সীমান্তবর্তী মানুষগুলো ওইসব মানুষের সংস্পর্শে থাকছেন। এছাড়া কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সীমান্তে অবৈধপথে চোরাকারবারিরা যাতায়াত করেন। তাদের মাধ্যমেও করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
স্বাস্থ্য বিভাগের মতে, রংপুর, রাজশাহী ও চাপাইনবাবগঞ্জের মতো করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে। রংপুর বিভাগে ৫টি স্থল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মানুষের যাতায়াত রয়েছে। বন্দরগুলো হলো লালমনিরহাটের বুড়িমারী, পঞ্চগড়ের বাংলাবান্দা, দিনাজপুরের হিলি ও রাধিকাপুর এবং কুড়িগ্রামের রৌমারীর তুরারোড। এসব সীমান্ত দিয়ে বৈধ পথে কিছু লোক আসলে তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় তাদের আত্মীয়স্বজনরাও তাদের সাথে দেখা করতে যাচ্ছেন। যে সব আত্মীয়স্বজন যাচ্ছেন তারা আবার নিজ বাড়িতে ফিরে ফিরে আসছেন। তারা কতটুকু নিরাপদ এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগে ২৮২ জনের দেহের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৩২ হাজার ৬৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৮ হাজার ৮৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে দুজনের। মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৩৯২ জনে। করোনা শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ২ দশমিক ৮ শতাংশ।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আহাদ আলী জানান, ভারত থেকে যারা আসছেন, তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। কিন্তু তাদের আত্মীয় স্বজনরা যাতায়াত করছেন। এতে ভারতীয় ধরন সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া অবৈধ পথে আসা-যাওয়া ব্যক্তিদের দ্বারা ভারতীয় ধরন ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই