মোংলাসহ বাগেরহাট জেলায় বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ ও শনাক্তের হার। মঙ্গলবার ৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।মঙ্গলবার শনাক্তের হার ৬১.২২ ভাগ।
গত ৩০ মে থেকে ৮ জুন পর্যন্ত মোংলায় করোনার নমুনা পরীক্ষায় ২৩৫টির মধ্যে ১৪১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মোংলায় সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত ৩০ মে থেকে পৌর এলাকাজুড়ে করোনার কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। গত ২৪ ঘণ্টায় বাগেরহাট জেলায় মোংলা উপজেলা ছাড়াও ফকিরহাটে ১৪ জন, মোড়েলগঞ্জে ৮ জন, সদর উপজেলায় ৭, শরণখোলায় ৬ জন, রামপালে ৩ ও মোল্লাহাট উপজেলায় ১ জন নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এ পর্যন্ত জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৮৬০ জনের। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের। এখন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১১ জন, বাকিরা বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মোংলায় চলমান কঠোর বিধিনিষেধের ১০ম দিনে মঙ্গলবার পৌর শহরের প্রবেশ মুখগুলোতে লোকসমাগম ও যান চলাচল ঠেকাতে পুলিশকে হিমশিম খেতে দেখা গেছে। পৌর শহরে ভ্রাম্যমাণ মোবাইল কোর্ট, কোস্ট গার্ড, পুলিশ ও আনসারের টহল থাকায় শহর এলাকায় বিধি নিষেধ কিছু মানা হলেও উপজেলার বাকী ৬টি ইউনিয়নে তা মানা হচ্ছেনা। চলমান বিধি নিষেধ না মানায় এ কয়দিনে ভ্রাম্যমাণ মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৪৯টি মামলায় ৫৫ জনকে ৩২ হাজার ১শ টাকা নগদ জরিমানা করা হয়েছে।
বিধি নিষেধের মধ্যেও স্বাভাবিক রয়েছে মোংলা বন্দরের সকল কার্যক্রম। মঙ্গলবার বন্দরে থাকা ৯টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য উঠানামা ও পরিবহণের কাজ চলেছে। বন্দরের পাশাপাশি বন্দর সংশ্লিষ্ট কাস্টমসসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমও স্বাভাবিক রয়েছে।
বাগেরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির বলেন, বর্তমানে মোংলায় করোনা শনাক্তের হার শতকরা ৬০ ভাগ। তিনি বলেন, আগের তুলনায় শনাক্তের হার কমেছে। কারণ এর আগে ৭১ ভাগ পর্যন্তও শনাক্তের হার ছিল। আশা করছি চলতি সপ্তাহের মধ্যে শনাক্তের হার আরও কমে আসবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার