করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় ৭ জেলায় কঠোর লকডাউন ঘোষণা দেওয়ায় ঢাকার সাথে সারা দেশের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একই সাথে বন্ধ করা হয় চাঁদপুর-ঢাকা ও চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জের মধ্যে চলাচলকারী লঞ্চ।
তবে লঞ্চ চলাচল হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক যাত্রী বিপাকে পড়েছেন। কারণ দূরপাল্লার বাস চলাচলও বন্ধ রয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে সিডিউলে থাকা সকল লঞ্চ বন্ধ করে দেয়।
মঙ্গলবার দুপুরে লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঘাটে কোনো লঞ্চ নেই। ভোর ৬টার আগেই ঘাট থেকে সকল লঞ্চ নিরাপদ স্থানে নিয়ে রাখা হয়েছে। পুরো ঘাট ফাঁকা। লঞ্চ মালিক প্রতিনিধিরা সকাল থেকে উপস্থিত থেকে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত যাত্রীদের ফিরিয়ে দেন। এরপরেও অনেকে লঞ্চ বন্ধের খবর না জেনে ঘাটে চলে আসেন।
আবুল হোসেন ও মহিউদ্দিন নামে দুই যুবক কচুয়া থেকে এসেছেন লঞ্চে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে। তারা ঘাটে এসে জানতে পারেন ভোর থেকে সব লঞ্চ বন্ধ। তারা জানান, রাতে জেনেছি ৭ জেলায় সব বন্ধ। কিন্তু চাঁদপুর থেকে বন্ধ তা জানা ছিল না।
হরিণা ফেরিঘাটের দুজন নারী ও পুরুষ যাত্রী অটোরিকশা নিয়ে ঘাটে এসে লঞ্চ না পেয়ে আবার বাড়িতে ফিরে গেছেন। এভাবে ক্রমান্বয়ে যাত্রী আসছে এবং ঘাট থেকে ফিরে যেতে দেখা গেছে তাদের।
চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেছে, চাঁদপুর থেকে ঢাকা ও দূরপাল্লার সকল বাস বন্ধ রয়েছে। স্ট্যান্ডের মূল সড়কে অনেক বাস দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। তবে চাঁদপুর-কুমিল্লা চলাচলকারী বোগদাদ ও রিলাক্স পরিবহন চলাচল করছে।
চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা কায়সারুল ইসলাম বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সকাল ৬টা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ। এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি সোমবার রাতে লঞ্চ মালিক কর্তৃপক্ষ পেয়েছেন। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জের সব লঞ্চ বন্ধ থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই