২২ জুন, ২০২১ ১৯:৫৭

বাগেরহাটে শিশু হত্যায় দুই কিশোরের সাত বছরের দণ্ড

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটে শিশু হত্যায় দুই কিশোরের সাত বছরের দণ্ড

প্রতীকী ছবি

বাগেরহাটের মোংলায় মো. হৃদয় (১৬) নামে এক শিশুকে হত্যার দায়ে দুই কিশোরকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। দণ্ডিতরা শিশু হওয়ায় তাদের কারাগারে না রেখে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে রাখার আদেশ দেন বিচারক।

মঙ্গলবার বিকেলে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. নূরে আলম আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত শিশুরা হলেন-বাগেরহাটের মোংলা পৌরসভার মালগাজী এলাকার মৃত মো. বাবুল হাওলাদারের ছেলে মো. জিহাদুল ইসলাম জিহাদ (১৭) ও একই এলাকার আমির হোসেনের ছেলে শাহীন হোসেন (১৭)। নিহত মো. হৃদয় মোংলা পৌরসভার আব্দুল হাই সড়কের মো. দুলাল তালুকদারের ছেলে।

মামলার নথির বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রণজিৎ কুমার মণ্ডল বলেন, খুনের শিকার মো. হৃদয় ও দণ্ডিত আসামিরা বন্ধু ছিল। তারা তিনজনই মাদকাসক্ত। ঘটনার দিন ২০১৭ সালের ২৯ মে রাত ৮টার দিকে মাদকসেবন করা নিয়ে হৃদয়ের সাথে শাহীন ও জিহাদের দ্বন্দ্ব হয়। এরই জেরে শাহীন ও জিহাদ মিলে হৃয়কে মাথায় আঘাত করে পরে শ্বাসরোধে হত্যা করে নৌবাহিনীর ক্যাম্পের বেড়িবাঁধ এলাকায় মরদেহটি ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরের দিন হৃদয়ের মরদেহটি পুলিশ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় ৩০ মে নিহত হৃদয়ের বাবা মো. দুলাল তালুকদার অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মোংলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তভার দেওয়া হয়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. খলিলুর রহমান ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই জিহাদ ও শাহীনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেন। এরপর ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শিশু আইন অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত করেন এবং তাদের প্রত্যেককে সাত বছরের আটকাদেশ দেওয়া হয়।

রায় ঘোষণার পর আসামি পক্ষের আইনজীবী বিধান চন্দ্র মণ্ডল বলেন, আমার মক্কেল মামলায় ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। রায়ের কপি হাতে পেলে উচ্চ আদালতে আপিল করব।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর