ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় রাস্তা সংস্কারের দাবিতে কচু চারা রোপণ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী ও একদল তরুণ। আজ দুপুরে উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়নের মুন্সীরহাট বাজার থেকে শালকোনা হয়ে বেলতলী বাজার পর্যন্ত রাস্তায় চলাচলে দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে এ প্রতিবাদ জানান তারা।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার ৭ নং বাঘবেড় ইউনিয়নের অন্তর্গত মুন্সিরহাট বাজার হতে শালকোনা হয়ে বেলতলী বাজার পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তা। এ রাস্তাটি দিয়ে শালকোনা, বেলতলী, গাবরাখালীসহ ২০ গ্রামের হাজারো মানুষ চলাচল করে। তাছাড়া চলমান বর্ষায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে যাওয়ায় রাস্তা দিয়ে কোন গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। এ রাস্তাটি দিয়ে নব-নির্মিত গাবরাখালী পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়াসহ পাশেই বেলতলী ও উত্তর শালকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের এ রাস্তা দিয়ে যাতায়ত করতে হয়। প্রতি বর্ষা মৌসুমেই সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
তরুনদের মধ্যে সাজ্জাদ হোসেন লিমন জানান, এই রাস্তা দিয়ে আমরা চলাচল করতে পারি না। গ্রামের মানুষের অনেক কষ্ট করে হাট-বাজারে যেতে হয়। সরকার যেখানে গ্রামকে শহরের সুবিধা প্রদান করার অঙ্গীকার করেছে ঠিক সেই সময়ে এই গ্রামের একমাত্র ভরসা প্রধান এ রাস্তাটি কাঁচাই রয়ে গেছে। আমরা রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার চায়। সংশ্লিষ্ট কর্মকতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের স্বার্থেই এভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছি।
বেলতলী গ্রামের সফি উদ্দিন ও উত্তর শালকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসাইন আহমেদ হাসিম বলেন, আমাদের স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা ও শিক্ষকরা স্কুল কলেজে যেতে পারে না। এ রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি ও বড় বড় খানাখন্দভরা থাকে। শালকোনা ও বেলতলী হয়ে বর্ডার পর্যন্ত রাস্তাটি পাকাকরণ করা অতীব জরুরী। এটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফরহাদ রব্বানী সুমন জানান, বালু ব্যবসায়ীদের বালুভর্তি গাড়ি চলাচল করে প্রতিনিয়ত রাস্তাটি নষ্ট হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের সীমিত বাজেট ও এইচবিবি বরাদ্দে রাস্তাটি ইটের সলিং কাজ সম্পন্ন করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন