আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামেন রেখে নেত্রকোনায় প্রস্তুতি নিচ্ছে পশু খামারিসহ মালিকরা। সর্বত্র গরু মোটাতাজা করছেন খামারি ও প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকেরা। এরই মধ্যে কোন ক্যামিক্যাল ছাড়াই প্রায় ২৮ মণ ওজনের বিশাল আকৃতির গরু লালন পালন করে সারা ফেলে দিয়েছেন প্রান্তিক এক কৃষক পরিবার। দাম ধরা হয়েছে ১২ লক্ষ টাকা।
গরুটির স্বভাবের সাথে মিল রেখে নাম দেওয়া হয়েছে নবাব। নবাবকে দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতা দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন বাড়িতে। প্রান্তিক কৃষক পর্যায়ে লালিত হওয়া উল্লেখযোগ্য গরু হিসেবে রয়েছে সদর উপজেলার মৌগাতি ইউনিয়নের মাসকান্দা গ্রামের নবাব নামের বিশাল আকৃতির একটি গরু।
নিজেদের গোয়ালে জন্ম নেওয়া ব্রাহামা জাতের একটি বাছুর ৪ বছর ধরে অত্যন্ত যত্ন সহকারে লালন পালন করেছেন ৪ ভাই। ছোট থেকে গরুটির স্বভাবের সাথে মিল রেখে নাম রেখেছেন নবাব। বর্তমানে গরুটির উচ্চতা ৫ ফুট ওজনে প্রায় ১১শ কেজি। ভালো দাম পেলে বাড়িতে রেখেই নবাবকে বিক্রি করতে চাইছেন পশুটির মালিকেরা।
কৃত্তিম প্রজনন কেন্দ্রের উপ-পরিচালক ডা. দিপক সরকার বলেন, বিশাল আকৃতির নবাবকে দেখে পশু পালনে আগ্রহী হয়ে উঠবেন অনেকেই।
এছাড়াও প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনোরঞ্জন ধর জানালেন, এ বছর চাহিদার চেয়েও বেশী পশু প্রস্তুত রয়েছে। খামারি ও প্রান্তিক পর্যায়ের মোটাতাজা হওয়া পশুতে যেন কোন রকম ক্যামিক্যাল ব্যবহৃত না হয় সেদিকে নজরদারি রয়েছে। ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে পশু বিক্রিতে এবার অনলাইন হাটের ব্যবস্থা করছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের প্রত্যাশা চলমান করেনা সঙ্কটের মাঝেই লালিত পশু সঠিক মূল্যে বিক্রি করে লাভবান হবেন তারা।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির