গাজীপুরে ছেলে হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে পিতা খুন হওয়ার ঘটনায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদর থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার রাতে নিহতের স্ত্রী শেফালী বেগম বাদি হয়ে পাঁচজনের নামে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাহাদুরপুর তুলসীভিটা এলাকার সিদ্দিক মিয়ার ছেলে মোজোম্মেল (৩৫), একই এলাকার মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে আলমগীর (৩২), হাবিবর বেপারীর ছেলে রুবেল (৩০), আলম বেপারীর ছেলে হান্নান ওরফে হান্নু (৩৫) ও বাবু (২৮)।
এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, গত ২ আগস্ট তার ছেলে নয়ন (১২) প্রতিবেশী কয়েকজনের সঙ্গে ভাওয়াল মির্জাপুর আঙ্গুটিয়াচালা তুরাগ নদীতে মাছ ধরতে গেলে সেখানে তার ছেলে নয়ন পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। পরদিন ফায়ার সার্ভিস নয়নের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে গ্রামের বাড়িতে লাশ দাফন করে ৮ আগস্ট গাজীপুর এসে যাদের সঙ্গে নয়ন মাছ ধরতে গিয়েছিল সেই শাহীন, আনন্দ, বাবলু ও সিজুদের বাড়িতে যায় তার ছেলে কিভাবে মারা গেছে তা শোনার জন্য। এসময় মামলার আসামিরা ওই চারজনের পক্ষ হয়ে জানায় তার ছেলের মৃত্যুর ব্যাপারে পরে তারা কথা বলবে। তারা বিষয়টি নিয়ে সময় কালক্ষেপন করতে থাকে।
এক পর্যায়ে গত ১৮ আগস্ট সকালে তার স্বামী আসাদুল ইসলাম ও তিন ছেলেসহ বাহাদুরপুর তুলশীভিটা এলাকায় জনৈক ইলিয়াসের বাড়ীতে গিয়ে ছেলের মৃত্যুর ব্যাপারে কথা বলতে গেলে উল্লিখিত আসামিরা উত্তেজিত হয়ে তাদের উপর আক্রমণ করে এলোপাথারী মারধর করে এবং বুকে লাথি মারে। এতে আসাদুল ইসলাম মাটিতে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় কয়েকজনের মারধরে পোশাক শ্রমিক আসাদুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় বুধবার রাতে থানায় মামলা হলে পুলিশ মামলার দুই নম্বর আসামি মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে আলমগীরকে (৩২) বুধবার রাতে গ্রেফতার করেছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন