নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তার ও ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ২ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দেশীয় অস্ত্র ও রাবার বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে। সাব মিয়া (৫৩) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার পাড়াতলী ইউনিয়নের কাচারিকান্দি গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। তবে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই জন নিহত হওয়ার ঘটনায় এখনো থানায় কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। আটককৃত সাব মিয়া উপজেলার পাড়াতলী ইউনিয়নের কাচারিকান্দি গ্রামের মৃত বুরজ মিয়ার ছেলে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে রায়পুরা উপজেলার পাড়াতলী ইউনিয়নের কাচারিকান্দি গ্রামে আধিপত্য বিস্তার ও ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ২ জন নিহত হয়। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৩০ জন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পাড়াতলী ইউনিয়নের কাচারিকান্দি গ্রামে শাহ আলম মেম্বার ও একই গ্রামের ছোট শাহ আলমের সাথে দন্ধ চলে আসছিল। গত ৬ মাস পূর্বে উল্লেখিত দু’গ্রপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে ছোট শাহআলম গ্রুপের ইয়াসিন ও শাহিন নামে দুই জন নিহত হয়।
এ ঘটনায় বড় শাহ আলম গ্রপের সদস্যরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। এরই মধ্যে ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা হয়। ইউপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য শাহ আলম মেম্বারের লোকজন গ্রামে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ভোর রাতে শাহ আলম মেম্বারের গ্রুপের সদস্যরা টেঁটা বল্লম ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গ্রামে ঢুকে। ছোট শাহ আলমের বাড়িতে হামলা চালায়। এখবর ছড়িয়ে পড়লে ছোট শাহ আলমের সমর্থকরা বাধা দেয়ার চেষ্টা চালায়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
এসময় প্রতিপক্ষের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ছোট শাহ আলম গ্রুপের সাদির (২২) ও হিরন (৩৫) নামে দুই জন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এসময় প্রতিপক্ষের হামলায় ৮ জন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে রায়পুরাসহ নরসিংদীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ কাচারিকান্দি গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাব মিয়া নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। ২টি পাইপ গান ও ৩ রাউন্ড রাবার বুলেট উদ্ধার করা হয়।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় দেশীয় অস্ত্র ও রাবার বুলেটসহ সাব মিয়া নামে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জেল হাজতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। তবে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় থানায় এখনও কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। মামলা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ