করোনার থেকে বাঁচতে নেওয়া লকডাউনের সময় তরুণদের স্বাস্থ্য সচেতন করতে গড়ে তোলা রানার্স অ্যাসোসিয়েশন দৌড়ে যাচ্ছে অদ্যবধি। বিভিন্ন বয়সের অর্ধ-শতাধিক কিশোর, তরুণ-যুবা শরীরের সক্ষমতা বাড়াতে দৌড়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
নেত্রকোনা রানার্স অ্যাসোসিয়েশন নামে এই সংগঠনের সদস্যরা এখন জেলা ছেড়েও দেশের বিভিন্ন স্থানে ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। শুধু তাই নয়, তারা মানবিক কাজেও অংশ নিচ্ছে। পাশে দাঁড়াচ্ছে অসহায় মানুষের।
নেত্রকোনা শহরের কয়েকজন মিলে প্রথমে এই রানার্স অ্যাসোসিয়েশন গড়ে তোলে। লকডাউন চলাকালে ঘরে বসে বসে অনেকে অনেক কিছুতে আসক্ত হতে থাকে। বেড়ে গিয়েছিলো আত্মহত্যার প্রবণতাও।
তখনই জহিরুল কবীর শাহীন নামে একজন মাল্টিমিডিয়া ব্যবসায়ী ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করে নিজের সাথে প্রতিদিন ভোরে দৌড়ে শামিল হতে আহ্বান জানান। এরপর থেকে শুরু হয় নানা বয়সের পুরুষদের প্রতিদিন একত্রে হাঁটা। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন এলাকায় ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা হলেই তারা অংশ নেন।
এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সিলেটে একটি ম্যারাথন দৌড়ে অংশ নেওয়া নেত্রকোনা রানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সংগঠক জহিরুল কবীর শাহিন জানান, তিনি ২১ কিলোমিটার দৌড়ে অংশগ্রহণ করে সপ্তম হয়েছেন।
তিনি বলেন, দৌড় একটি সুস্থ থাকার কৌশল। যারা এটা গ্রহণ করে তাদের ওষুধ খেতে হয় না। এছাড়া দৌড়ানো একটি সুন্দর বিনোদনও বটে। দৌড়ে যারা একবার আসক্ত হতে পারে, তাদের সারাজীবন ডাক্তারের কাছে যেতে হয় না। দৌড় মানুষকে মাদকাসক্ত থেকে রক্ষা করে। দৌড় মানুষকে সুইসাইড থেকে রক্ষা করে। সবমিলিয়ে দৌড় মানুষকে সুন্দর জীবন উপহার দিয়ে থাকে।
দৌড় প্রতিযোগিতায় সরকার নির্দিষ্ট বাজেট দিয়ে দেশের মানুষকে সুন্দর জীবন উপহার দিতে পারে বলে মনে করেন তিনি। কবীর শাহিন ফেসবুকে এক খোলা চিঠিতে নীতি-নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিষয়টি ভাববার জন্যও অনুরোধ করেন।
তিনি জানান, দেশের মানুষ সুস্থ সুন্দর জীবন পাবে। দেশের চিকিৎসা খাতে ব্যয় কমে আসবে। সুস্থ সুন্দর দেশ গড়ে উঠবে। বিনোদনের দীর্ঘমেয়াদি মাধ্যম তৈরি হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই