বগুড়ার ধুনট উপজেলায় তিন দিনব্যাপী ৪৩তম সরুগ্রাম ইজতেমার দ্বিতীয় দিন ছিল শুক্রবার। ইজতেমা ময়দানে এদিন বৃহৎ জামাতে জুমার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। জুমার নামাজে অংশ নিতে শুক্রবার সকাল থেকেই ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের ঢল নামে।
জুমার নামাজের খুৎবা শেষে ইমামতি করেন সৌদি আরবের মুরব্বি হযরত মাওলানা শেখ সালেহ। নামাজ শেষে মুসল্লিদের উদ্দেশে বয়ান পেশ করেন ঢাকা কাকরাইল মসজিদের মুরব্বি হাফেজ ওয়ালিউল্লাহ।
শনিবার ইজতেমা শেষ হবে। ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মেহমানদের তত্বাবধানে ইজতেমা পরিচালিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এ ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের অবস্থান নেয়ার জন্য ৩৬টি পয়েন্ট করা হয়েছে। প্রতিটি পয়েন্টে আগে থেকেই উপরে সামিয়ানা টাঙানো হয়েছে। নিজ নিজ এলাকার মুসল্লিরা একসঙ্গে পয়েন্টগুলোতে অবস্থান নিয়ে বয়ান শুনছেন। এছাড়াও সেখানে সৌদি আরব, ভারত ও নেপালের মুসল্লিরাও আছেন।
প্রতিদিন ফজর, যোহর, আছর ও মাগরিবের নামাজের পর দেশ ও বিদেশের মুরব্বিরা বয়ান পেশ করছেন। ইজতেমায় বেশির ভাগ বয়ান বাংলা ভাষায় করা হচ্ছে। এছাড়াও বিদেশি মুরব্বিরা আরবি ও ইংরেজি ভাষায় বয়ান করছেন। সেগুলো দোভাষীর সাহায্যে বাংলায় অনুবাদ করে মুসল্লিদের শোনানো হচ্ছে।
ইজতেমা আয়োজক কমিটির সদস্য হুমায়ন কবির জানান, ইজতেমা ময়দানে সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখার জন্য স্বেচ্ছাসেবক দল কাজ করছেন। এছাড়া আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সব সময় সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। এখানে অবস্থান নেয়া মুসল্লিদের জন্য গোসল, টয়লেট ও ওযুর জন্য পৃথক ব্যবস্থা হয়েছে।
টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা সফল করার লক্ষ্যে ইজতেমা থেকে ৫৪টি জামাত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দাওয়াতি কাজে বেরিয়ে পড়বে বলে আশা করছেন তারা। শনিবার ইজতেমার শেষ দিনে সকাল ৯টা থেকে বয়ান করবেন ঢাকা কাকরাইলের মুরব্বি মুফতি ওয়াসিম এবং দুপুর সাড়ে ১২টায় আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করবেন হযরত আব্দুল্লাহ।
ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা জানান, এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে অবস্থান করছেন। নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন স্তরের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ