লালমনিরহাটে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে শহরের হাড়িভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ, হারাগাছ ও কালিগঞ্জ কেইউপি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮৫০ জন হতদরিদ্র শীতার্তের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
বেলা ১১টায় কালের কণ্ঠ শুভসংঘের আয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়। এসময় বসুন্ধরার কম্বল পেয়ে আবেগাপ্লুত হন লালমনিরহাটের শীতার্ত হতদরিদ্ররা। বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবু জাফর, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মতিয়ার রহমান, কবি ও সাহিত্যিক ফেরদৌসি বেগম বিউটি, শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, নিউজ টোয়েন্টিফোর রংপুর ব্যুরো প্রধান রেজাউল করিম মানিক, সাংবাদিক আশিকুর রহমান ডিফেন্স, তন্ময় আহমেদ নয়ন, খোরশেদ আলম সাগর ও কালের কণ্ঠের উপজেলা প্রতিনিধিরা।
এসময় ষাটোর্ধ্ব তরিমন বেওয়া বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ হামাক কম্বল দিল, আল্লাহ ওমাক ভালো রাখুক। খুব ঠাণ্ডা লাগছে বাপ, কম্বলডা পাইয়া উপকার হইলো। হামরা গরিব মানুষ, হামার কিছুই নাই, শীতোত কম্বলগুলা গাত দিয়া দোয়া করমো। আল্লাহ তোমাক ভালো করবে বাহে।’
সাত মাস বয়সী সন্তানের জন্য কম্বল নিতে এসেছিলেন আরেফা বেগম নামের আরেক নারী। শহরের কলোনি এলাকার আমির হোসেনের স্ত্রী আরেফা বলেন, ‘বাচ্চা নিয়া শীতোত খুব কষ্ঠত আছিনো, কম্বলখান প্যায়া ভালোই হইলো বাহে। আল্লায় ওমাক ভাল করিবে।’ কম্বল হাতে কাঁপতে থাকা বৃদ্ধা আছিয়া বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ, কাপড় কিনতে পারি না, যে ঠাণ্ডা পড়েছে বাঁচা দায়। আল্লাহ তোমাক ভালো করবে বাহে।’
উত্তরের শীত প্রধান দারিদ্র জেলা লালমনিরহাটে প্রতিবছর শীতার্ত মানুষকে সহযোগিতা করায় বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানান লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর। এসময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মতিয়ার রহমান বলেন, বসন্ধুরা গ্রুপের এই সহযোগিতাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তারা সব সময়ই সংকটে দেশবাসীর পাশে থাকে। হতদরিদ্রের পাশে থাকার ধারা বসুন্ধরা গ্রুপ অব্যাহত রাখবে এমনটাই দাবি জানালেন কবি ও সাহিত্যিক ফেরদৌসি বেগম বিউটি।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক