বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শালফা টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের শিক্ষক মহসিন আলীকে পুলিশি হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। প্রতারক চক্রের সক্রিয় এক নারী সদস্যের মিথ্যা অভিযোগে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করার হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। এ অবস্থায় পুলিশি আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। রবিবার সন্ধ্যায় শহরের স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডস্থ শেরপুর প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতায় শেরপুর পৌরশহরের উলীপুর এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক মহসীন আলী বলেন, জেলার ধুনট উপজেলার জয়শিং গ্রামের ফিরোজ শাহ্ মিঠুর স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে একই উপজেলার বড়চাপড়া মধ্যপাড়া গ্রামের শাহার উদ্দিনের ছেলে আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে বিগত ২১ সেপ্টেম্বর বগুড়া সদর থানায় একটি যৌন হয়রানীর অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ তদন্তে অভিযুক্ত চারজনের কারো বিরুদ্ধে জড়িত থাকার সত্যতাও পায়নি পুলিশ। তাই অভিযোগটি অদ্যবধি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়নি।
অথচ ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৭ নভেম্বর থেকে বনানী পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন আমাকেসহ অন্যান্য অভিযুক্তদের নানাভাবে হয়রানি করছেন। সেইসঙ্গে সবাইকে গ্রেফতার করার হুমকি-ধামকি দেওয়া অব্যাহত রেখেছেন। ওই পুলিশ কর্মকর্তার এহেন কর্মকান্ডে চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যদিয়ে দিনাতিপাত করছি। এমনকি প্রতিপক্ষ প্রতারক চক্রের সঙ্গে যোগসাজস করে এই পুলিশ কর্মকর্তা মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পায়ঁতারা চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, অভিযোগের আপোষ-মিমাংসার দুই লাখ টাকা পরিশোধে তালবাহানা করছেন অভিযুক্তরা। তাই তাদের গ্রেফতার করার জন্য সংশ্লিষ্ট শেরপুর থানা পুলিশকে বলা হয়েছে বলে স্বীকার করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন/এএ
