ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সরকারি জায়গার মাটি উত্তোলন ও বিক্রি করার অভিযোগে মাটি উত্তোলনকারীকে তিন লক্ষ টাকা জরিমানা এবং এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। মাটি উত্তোলনে সহযোগিতা করায় অপর তিন ব্যক্তিকে দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে এই জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ধুলজোড়া গ্রামের শরীফ বাড়ির নিকটবর্তী কুমার নদের পাড় থেকে মাটি উত্তোলন করছিলেন একই গ্রামের মো. মিজান শরীফ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম। কুমার নদের মাটি উত্তোলন ও বিক্রয় করার অপরাধে মো. মিজান শরীফকে তিন লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড ও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড (উভয়দণ্ড) প্রদান করা হয়। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে এক মাসের কারাদণ্ডের অতিরিক্ত আরও পনেরো দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া একাজে এক্সকেভেটর দিয়ে মাটি তোলা এবং গাড়ি দিয়ে মাটি পরিবহন করার কাজে সহযোগিতা করার অপরাধে তিনজনকে দেড় লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। তারা হলেন উপজেলার চতুল ইউনিয়নের হাসামদিয়া গ্রামের টুটুল ফকির, পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের পরমেশ্বরদী গ্রামের মো. মতি মোল্যা এবং ফরিদপুর সদর উপজেলার কোতয়ালি থানার মো. সাকিব মাতুব্বর।
বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম বলেন, মাটি ও বালুখেকোদের পুনরায় সতর্ক করা হলো। পরবর্তীতে অধিকতর কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা