সিরাজগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে ৬নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে খুনিদের দ্রুত আইনে বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার। রবিবার সকালে শহরের নতুন ভাঙ্গাবাড়ি নিজ বাস ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত কাউন্সিলর তরিকুল ইসলামের স্ত্রী বর্তমান পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাছিনা খাতুন হাসি।
সংবাদ সম্মেলনে হাছিনা খাতুন জানান, গত বছরের ১৬ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে আমার স্বামী ৬নং ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হন এবং বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহাদৎ হোসেন বুদ্দিন ও তার সন্ত্রাসী দল নিয়ে ভোট কেন্দ্রেই ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। পরবর্তীতে আমরা ৩২ জনের নামসহ প্রায় ৪০-৪৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করি। কিন্তু মামলার দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস পর ৩০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল হয়। সম্প্রতি মামলার প্রধান আসামি শাহাদৎ হোসেন বুদ্দিনসহ ৪জন আদালতে আত্মসমর্পন করলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠায়।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, চাজর্শীট আগে এবং পরে আসামিদের অনেকেই বাহিরে থেকে পরিবেশ নষ্ট করছে। শুধু তাই না সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে আসামিরা নানা প্রকার উস্কানীমূলক পোষ্ট দিয়ে এমন হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের রুপদানের চেষ্টায় লিপ্ত আছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর নিকট দাবি দ্রুত আইনে তরিকুল হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে এবং দোষিদের শাস্তি দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত তরিকুল ইসলাম এর চাচা আব্দুল লতিফ, ভাই আব্দুল মতিন খান, বোন শাহনাজ পারভীন, কন্যা তাওহীদা জাহান খান, ছেলে ইকরামুল হাসান খান, সাবেক কাউন্সিলর রাশিদুল ইসলাম ফসি, শাহাদত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল