নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনকে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নাটোর সার্কিট হাউজে এমপি শিমুল ও চেয়ারম্যান রমজান গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে সাতজনকে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দলীয় সূত্র জানায়, নাটোরের বিবাদমান দুই গ্রুপ সদর আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নাটোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজানের শত শত অনুসারী শনিবার বিকেল থেকে সার্কিট হাউজের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে নিজেদের শক্তি জানান দিতে জেলা আওয়ামী লীগের এই দুই নেতার অনুসারীরা মিছিল করতে থাকে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপি সার্কিট হাউজে পৌঁছালে উভয় গ্রুপ পাল্টা পাল্টি মিছিল শুরু করে। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে সার্কিট হাউজ মাঠ জুড়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় গ্রুপের ১৫ জন গুরুতর আহত হয়।
আহতদের মধ্যে শহরের চকরামপুরের আব্দুল হামিদের ছেলে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. মনজুরুল ইসলাম(২৮), মল্লিক হাটির আয়েজ উদ্দিনের ছেলে মো. মশিউর রহমান (৪৫) ও মো. হাবিবুর রহমান চুন্নু (৫২) সদরের পিরজিপাড়ার সাইদ আলীর ছেলে মো. শিমুল হোসেন শাহিন (৩৫), বাবুর পুকুরপাড়ের নজরুল ইসলামের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (২৭), চক আমহাটির আবুল খায়েরের ছেলে মো. শাখাওয়াত হোসেন (২৬) এবং মো. তোতা মিয়াকে (৫০) নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার পর বিপুল পরিমান পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের জন্য নাটোর সদর আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নাটোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান একে অপরকে দায়ী করেছেন।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বলেছেন, ‘ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আওয়ামী লীগ বড় দল; এমন ঘটনা তেমন বড় কিছু নয়।’
বিডি প্রতিদিন/হিমেল