টাঙ্গাইলের সন্তোষে কাঠ ব্যবসায়ী সামছুল হক (৫৫) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার সন্তোষ বাগবাড়ি এলাকা থেকে হত্যাকারী ইয়াসিন মিয়াকে (১৯) গ্রেফতার করা হয়।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার রবিবার (৬ মার্চ) দুপুরে পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানান, গত ২৪ জানুয়ারি বিকেলে টাঙ্গাইল সদর থানাধীন সন্তোষ (বাগবাড়ি) এলাকার যক্ষা হাসপাতালের সামনে পাকা রাস্তায় মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের “টি” পুকুরে কাঠ ব্যবসায়ী সামছুল হকের (৫৫) লাশ পাওয়া যায়। পরে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। হত্যা মামলার ঘটনাটি লোমহর্ষক এবং চাঞ্চল্যকর হওয়ায় টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এবং ডিবি (দক্ষিণ) টাঙ্গাইল যৌথভাবে হত্যার মামলার রহস্য উদ্ঘাটন ও আসামি গ্রেফতার করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। কাগমারী পুলিশ ফাঁড়ির (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, ডিবি (দক্ষিণ) এসআই প্রকাশ চন্দ্র সরকারের নেতৃত্বে একটি দল বিভিন্ন প্রচেষ্টার মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করে হত্যার সাথে জড়িত ব্যক্তির অবস্থান সনাক্ত করে।
পরে আসামিকে শনিবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সদর উপজেলার পোড়াবাড়ি ইউনিয়নের গদুরগাতী গ্রামের বুদ্দু মিয়ার ছেলে ইয়াসিন মিয়াকে (১৯) সন্তোষ বাগবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে নিহতের ব্যবহৃত একটি নীল কালো রংয়ের স্যামসং মোবাইল উদ্ধার করা হয়। আসামী হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে নিজের দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করার ইচ্ছা পোষণ করায় তার জবানবন্দি ফৌ. কা. বি. ১৬৪ ধারা মোতাবেক লিপিবদ্ধের জন্য তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল