বগুড়ার শেরপুরে মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় মাকে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত করেছে বখাটেরা। পরে স্থানীয় লোকজন এসে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। আর এ ঘটনাটি ঘটে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বেলগাড়ী গ্রামে।
রবিবার দুপুরে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ছুরিকাঘাতে আহত ওই নারীর নাম মোছা. ছকিনা বেগম (৪৫)। তিনি ওই গ্রামের সোলেমান আলীর স্ত্রী।
জানা যায়, বিগত দুই বছর আগে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বেলগাড়ী গ্রামের সোলেমান আলীর মেয়ে শারনী আক্তারের সঙ্গে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার শেওলাগাড়ী গ্রামের নবির উদ্দিনের ছেলে মো. সাগর হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনাত হচ্ছিল না। তাই গত চারমাস আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরই মধ্যে শারনী আক্তারকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন পাশের সীমাবাড়ী ইউনিয়নের ধনকুন্ডি উত্তরপাড়া গ্রামের এজাব আলীর ছেলে মো. সুজন মিয়া। কিন্তু ছেলেটি বখাটে হওয়ায় এই বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন শারনী আক্তারের পরিবার। সেইসঙ্গে শারনী আক্তারের পূর্বের স্বামীর সঙ্গেই আবারো বিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বখাটে সুজন ও তার লোকজন।
হাসপাতাল সূত্র জানান, ওই নারীর পেটে ধারালো অস্ত্রের মাধ্যমে একাধিকবার আঘাত করা হয়েছে। এমনকি সেই আঘাতে পেটের ভেতর থেকে নাড়িও বের হয়ে আসে। তবে অস্ত্রোপ্রচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এরপরও তিনি শঙ্কা মুক্ত নন বলে সূত্রটি জানায়।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনাটির খবর পেয়েই পুলিশ পাঠানো হয়। সেই সঙ্গে ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশি অভিযান চলে। কিন্তু পলাতক থাকায় কাউকে আটক করা যায়নি। তবে ওই ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া উক্ত ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এএম