গাজীপুরে গলায় ওড়না পেঁচানো এক গার্মেন্ট কর্মীর লাশ তালাবদ্ধ ঘর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে নিহতের স্বামীকে সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছে। দাম্পত্য কলহের জেরে ওই গার্মেন্ট কর্মীকে খুন করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। ক্লুলেস এ ঘটনার প্রায় ১০ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন করেছে বাসন থানা পুলিশ।
নিহতের নাম-মমতাজ খাতুন ওরফে মিতা (৩৩)। তিনি রাজশাহীর বাঘমারা থানাধীন নথপাড়া এলাকার আব্দুল মোতালেব হোসেনের মেয়ে। গ্রেফতারকৃতের নাম-রফিকুল ইসলাম (৪১)। সে নেত্রকোনা জেলা সদর থানার রৌহা এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে। গ্রেফতারকৃত রফিকুল ইসলাম শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) বাসন থানার ওসি মালেক খসরু খান জানান, পুলিশ ক্লুলেস এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে নিহতের স্বামী রফিকুল ইসলামকে সোমবার নেত্রকোনা থেকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রী মিতাকে রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গলাটিপে ও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করার কথা স্বীকার করে। হত্যার পর নিহতের লাশ ঘরের মেঝেতে ফেলে রেখে দরজা তালাবদ্ধ করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় সে। রফিকুলকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে ঘটনার প্রায় ১০ ঘন্টার মধ্যে ক্লুলেস এ হত্যার রহস্য উন্মোচন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম