গুপ্তধনের লোভ দেখিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া মধুপুর গুডাম পাড়ায় এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় ওই গৃহবধু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রুহিয়া থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ অভিযোগ না নিয়ে উল্টো তাকে বাড়ি পাঠিয়েন দেন। এ ঘটনার ৫ দিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ ওই গৃহবধূর ধর্ষণের অভিযোগ না নেওয়ায় অবশেষে আদালতে মামলা করেন তিনি।
বুধবার (৯ মার্চ) ধর্ষিত ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (৩)/৩০ ধারায় বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি রুজু করে ৬০দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন- মধুপুর এলাকার বাসিন্দা তান্ত্রিক প্রকাশ চন্দ্র ঝোল, পীরগঞ্জ লোহাগাড়ার আব্দুল রাজ্জাকের ছেলে রেল গেট কীপার শামিম হোসেন, ছুটু মোহাম্মদের ছেলে হোটেল শ্রমিক এনামুল হক , ডাউহই ওরফে মনিরউদ্দীনের ছেলে হোটেল শ্রমিক মেজর ও পাউলুস দাসের ছেলে উজ্জ্বল দাস তারা রুহিয়া ঘনিবিষ্টপুর এলাকার বাসিন্দা।
বিচারক গোলাম ফারুক বিষয়টি আমলে নিয়ে বাদীর অভিযোগ মামলা হিসেবে রুজু করার জন্য রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চিত্ত রঞ্জন রায়কে নির্দেশ দেন। মামলার বিষয়ে রুহিয়া থানার ওসি চিত্ত রঞ্জন রায় বলেন, শুনেছি ওই গৃহবধূ আদালতে মামলা করেছেন। আমার কাছে এখনো পর্যন্ত কাগজ আসেনি।
প্রসঙ্গত, রুহিয়া ইউনিয়নেরমধুপুর গ্রামের পুঞ্জিকা সাধক ও তান্ত্রিক প্রকাশ (ঝোল) ওই গৃহবধূকে গুপ্তধনের লোভ দেখিয়ে গত শুক্রবার বাড়ি থেকে ডেকে এক মন্দিরে নিয়ে যায়। সেখান থেকে সুকৌশলে ওই গৃহবধূকে মিশন রেলগেট কোয়ার্টারে নিয়ে ওইদিন গভীর রাতে তান্ত্রিক ঝোল সহ পাঁচ যুবক ধর্ষণ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ