ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুইদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। সিগারেট জ্বালানোর জন্য লাইটার চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই তরুণের হাতাহাতির জেরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
এ সময় তিনটি বাড়ি ও দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উত্তেজনা থামাতে বর্তমানে ঐ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে।
স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকালে ঘারুয়া গ্রামের চুন্নু ফকিরের ছেলে ইমন ফকির (১৮) সিগারেট ধরাতে দোকানদার রমজান মাতুব্বরের কাছে গ্যাসলাইটার চান। দোকানদার লাইটার না দেয়ায় বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতি হলে স্থানীয়রা দুই জনকে শান্ত করে মীমাংসা করে দেন।
এ ঘটনার জের ধরে ফের আজ বুধবার সকাল ৮টার দিকে দুই পক্ষের শত শত লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় ঘারুয়া বাজারের পাশের মাজেদ ফকির, কাদের মুন্সী ও সৈয়দ আলী মুন্সীর বাড়ি ও ঘারুয়া বাজারের ওবায়দুর মোল্লা, ফরহাদ মিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে দুইপক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়।
ঘারুয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সফিউদ্দিন মোল্লা বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে সালিশ বৈঠকের কথা হয়েছে। ভাঙ্গা থানার কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষে বাড়ি, ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক