ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তে লাগেজ পার্টির বিপুল পরিমাণ ভারতীয় কাপড় ও প্রাণীজ ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৪ ভারতীয় নাগরিক ও ৪ জন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী শুল্ক ফাঁকি দিয়ে কাস্টমস অতিক্রম চলে যাওয়ার সময় শুল্ক গোয়েন্দা ও বিজিবির নজরদারিতে এসব সামগ্রী ধরা পরে। জব্দকৃত কাপড় ও ওষুধের বাজার মূল্য প্রায় ৮ লাখ টাকা বলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আগরতলা-আখাউড়া ইমিগ্রেশন হয়ে ৪ ভারতীয় নাগরিক ও ৪ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এসময় তাদের সাথে বড় বড় ১৮টি লাগেজ ছিল। ওই যাত্রীদের মধ্যে ২ ভারতীয় নাগরিক কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় শুল্ক গোয়েন্দা মোস্তাক আহমেদ বিষয়টি টের পেয়ে তাদের আটক করে। পরে কাস্টমস অফিসে নিয়ে গিয়ে তাদের লাগেজ তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি, থ্রি-পিস, পাঞ্জাবি, শার্ট ও প্যান্ট পায়।
এছাড়া কাস্টমস অফিসে ২ ভারতীয় নাগরিকের লাগেজ তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ প্রাণীজ ওষুধ ও কাপড় জব্দ করা হয়। অপরদিকে ৪ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীর ব্যাগ তল্লাশি করে থ্রি-পিস, শাড়ি ও প্যান্টসহ বিভিন্ন প্রকার কাপড় জব্দ করা হয়। ওই যাত্রীরা কাপড় ও ওষুধগুলো কলকাতা থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য এনেছিল বলে স্বীকার করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশ কয়েক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে কিছু ভারতীয় এবং বাংলাদেশি নাগরিক ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ কাপড় বাংলাদেশে নিয়ে আসছে। পরে বন্দর সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে ম্যানেজ করে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে কাপড়গুলো নিয়ে যায়। অনেক সময় কাস্টমসে প্রবেশ না করে চোরাই পথে চলে যায়। এসব কাপড় ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। স্থানীয় কিছু লাগেজ পার্টি এদের সাথে জড়িত বলে জানা যায়। এরাই ভারতীয় নাগরিক দিয়ে ভারত থেকে কাপড় আনছে।
আখাউড়া কাস্টমস স্থল শুল্ক রাজস্ব কর্মকর্তা শাহ নোমান সিদ্দিকী বলেন, জব্দকৃত মালামালের বাজার মূল্য প্রায় ৮ লাখ টাকা। কাপড়গুলো তালিকা করে গুদামে রাখা হয়েছে। নির্ধারিত ট্যাক্স পরিশোধ করে কাপড়গুলো নিতে পারবে। প্রাণী ওষুধগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি সংগ্রহ সাপেক্ষে নিতে পারবে, অন্যথায় শুল্ক গুদামে পাঠিয়ে দেব।
বিডি প্রতিদিন/এমআই