বরগুনার পাথরঘাটায় ছেলের বিরুদ্ধে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ করেছেন সৎ মা। তবে ছেলে বলেছেন, তাকে ফাঁসাতে মিথ্যা নাটক সাজানো হয়েছে।
এ ঘটনায় মা রাহিমা বেগম (৬৫) পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।
অভিযুক্ত রুহুল আমিন ওরফে ফটিক পাথরঘাটা পৌর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মোক্তার আমজাদ হোসেনের ছেলে। রহিমা বেগম রুহুল আমিনের সৎ মা।
রাহিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, রুহুল আমিন ফটিককে তিন মাস বয়সে রেখে তার মা অন্যত্র চলে যায়। সে থেকে তাকে তিনি নিজের বুকের দুধ খাওয়ায়ে কোলেপিঠে করে মানুষ করেছেন। কিন্তু রুহুল ব্যাংক ঋণের কথা বলে গোপনে কয়েকটি কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে একটি হেবা দলিল তৈরি করেছেন। এ নিয়ে তিনি জজ আদালতে একটি মামলা করেছেন। এর জেরেই শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে এসে তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে রুহুল আমিন।
অভিযুক্ত রুহুল আমিন বলেন, মাকে কেউ মারতে পারে! আমার পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের জন্য সৎ ভাই-বোনেরা আমার বিরুদ্ধে সৎ মাকে নিয়ে চক্রান্ত করছে। আমাকে আমার বাসায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
পাথরঘাটা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কাকন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, রাহিমা বেগমকে হাতুড়ি দিয়ে মাথা ফাটানোর অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক আমি ঘটনাস্থলে যাই। স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানতে পারি রুহুল আমিনকে ফাঁসানোর জন্য তার সৎ ভাই নুরুল আলমের ষড়যন্ত্রে দেয়ালের সঙ্গে আঘাত করে রাহিমা বেগম নিজেকে আহত করেছেন। রুহুল আমিনের বসতবাড়ি তারা দখলের ষড়যন্ত্র করছেন।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, আমি স্টেশনে ছিলাম না। থানায় অভিযোগ হয়েছি কিনা জানি না, তবে স্থানীয়দের কাছে জেনেছি অভিযোগ ভিত্তিহীন। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল