আগামী ১ মে থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম জলধারা ও বাংলাদেশের প্রধান মৎস্য উৎপাদন কেন্দ্র কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণের উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান।
কাপ্তাই হ্রদে মাছের সুষ্ঠু ও প্রাকৃতিক প্রজনন, বংশ বৃদ্ধি এবং উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী ৩ মাস পর্যন্ত রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে মাছধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ থাকবে।
বৃহস্পতিবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এক জরুরি সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন। এসময় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্র ব্যবস্থাপক লে. কর্নেল মো. তৌহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, চলতি বছর ১ মে থেকে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছের সুষ্ঠু ও প্রাকৃতিক প্রজনন, বংশ বৃদ্ধি এবং উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বন্ধকালীন সময় কাপ্তাই হ্রদে এলাকায় সকল প্রকার মৎস্য আহরণ, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ, শুকানো ও পরিবহণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। যাতে হ্রদে মাছের প্রাকৃতিক প্রজননের ব্যাঘাত না ঘটে। একই সাথে বন্ধকালীন সময় কাপ্তাই হ্রদে পর্যাপ্ত কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হবে। এছাড়া কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ বন্ধকালিন সময় বেকার মৎস্যজীবিদেরও পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। এ হ্রদে প্রতি বছর প্রাকৃতিক প্রজনন কৃত মাছের মধ্যে শতকরা ৩১ ভাগ কাতাল, ১২ ভাগ রুই, শতকরা ৭ ভাগ মৃগেল ও ৫১ ভাগ কালি বাউশের প্রজনন হয়। যা দেশের সামগ্রিক মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তাই বন্ধকালীন সময় কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ থেকে বিরত থাকার জন্য সকল মৎস্যজীবীদের কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন