বগুড়ায় বিয়ের নয় মাসের মাথায় মিম আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে শেরপুর থানা পুলিশ। বুধবার বেলা ১১টার দিকে ঘটনাটি শেরপুর উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের রণবীরবালা গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত মিম আক্তারের স্বামী শাকিল আহম্মেদকে (২৫) আটক করা হয়েছে।
লাশ ময়না তদন্তের জন্য বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। নিহত মিম আক্তার শেরপুর উপজেলার কাফুরা পূর্বপাড়ার মজনু আকন্দের মেয়ে ও আটক শাকিল আহম্মেদ রনবীরবালা গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত নয়মাস আগে শাকিল আহম্মেদের সঙ্গে মিম আক্তারের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। এরইমধ্যে আসন্ন রমজানের ঈদে নতুন শাড়ি কাপড় কিনে না দেওয়াকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে পরদিন সকালে শয়নকক্ষে ওই গৃহবধূর লাশ পাওয়া যায়।
নিহত মিম আক্তারের বাবা মজনু আকন্দের অভিযোগ করে জানান, তার মেয়েকে শ্বাসরোধ ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে মিমের স্বামীর বাড়ির লোকজন। তাই এই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নিহত ওই গৃহবধূর স্বামী শাকিল আহম্মেদ বলেন, ঈদে নতুন শাড়ি কেনা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরবর্তীতে রাতের কোনো এক সময় সবার অজান্তে গলায় রশি লাগিয়ে নিজেই আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার এসআই মোস্তাফিজ বলেন, ওই গৃহবধূর মৃত্যুটি রহস্যজনক। এছাড়া তার গলায় আঘাতের কালো চিহৃ রয়েছে। তাই নিহতের লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়া গেলেই কেবল মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা ও বলা সম্ভব হবে। তবে ঘটনাটির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী শাকিলকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বিডি প্রতিদিন/এএম