ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। সোমবার সকাল থেকে পটুয়াখালীসহ দক্ষিণ উপকূলজুড়ে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। নদ-নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা অবস্থায় দেখা গেছে।
অশনির প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় গভীর সমুদ্রে মাছ ধরারত ট্রলার মৎস্য বন্দরে ফিরতে শুরু করেছে।
সোমবার সকাল ৬টায় পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড় অশনি। এটি আরো ঘনীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। তাই পায়রাসহ সকল বন্দর সমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার সমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুদ পারভেজ জানান, ভোর পৌনে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৪৪.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩০.৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
কলাপাড়া রাডার স্টেশন কর্মকর্তা মো. ফিরোজ কিবরিয়া জানান, সকাল ৬টা ১ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে বর্তমানে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত রয়েছে। যখনই ৪ নম্বরে উঠবে তখন আমরা প্রস্তুতি মূলক সভা করে সকলকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়ে দিব। তবে ঝড়ের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন