পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষ হলেও কর্মস্থলে যোগ দিতে এখনো রাজধানী ঢাকায় ফিরছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। আর কর্মস্থলমুখী এসব যাত্রীরা ফেরী, লঞ্চ ও স্পিডবোট করেই বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি ঘাট হয়ে পদ্মা পাড়ি দিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে আসছে।
দক্ষিণাঞ্চলের এসব যাত্রীরা এ নৌ-রুটের লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই শিমুলিয়া ঘাটে আসছে। আর শিমুলিয়া ঘাটে এসে এসব যাত্রীরা বাসের জন্য বৃষ্টি ও গরম উপেক্ষা করে অপেক্ষা করে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে দুই থেকে তিনগুণ ভাড়া বেশি দিয়ে ঢাকার পথে রওনা দিচ্ছে।
অন্যদিকে শিমুলিয়া ফেরী ঘাটে যানবাহনের সংখ্যা কম থাকলেও বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি ফেরী ঘাটে রয়েছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। আর এ চাপ সামাল দেওয়ার জন্য শিমুলিয়া ঘাট থেকে খালি ফেরীগুলো ও পারে পাঠাচ্ছে ফেরী কতৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের জন্য ১০ ফেরি চলাচল করছে। তবে ফেরিগুলো বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি ঘাট থেকে ভরে আসছে। আর বাংলাবাজার ঘাটের যাত্রী ও যানবাহনের চাপ সামল দেওয়ার জন্য শিমুলিয়া থেকে খালি ফেরীগুলো ওপার পাঠানো হচ্ছে। শিমুলিয়া প্রান্তে যানবাহনের কোন চাপ নেই।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের পরিবহন পরিদর্শক মোঃ সোলেমান জানান, যাত্রী ভীড় রয়েছে লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটে। তবে যাত্রী পারাপারের ৮৫টি লঞ্চ ও ১৫৫টি স্পিডবোট রয়েছে। তাছাড়া যাত্রীরা ঘাটে নেমেই বাস, সিএনজি ও লেগুলা করে গন্তব্যে চলে যেতে পারছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম