রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট দিয়ে পদ্মা পাড়ি দেওয়া যানবাহনের চাপ রয়েছে। ফেরিপারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক যানবাহন। আটকে পড়া এসব যানবাহনগুলোর মধ্যে দুই শতাধিক যাত্রীবাহী বাস রয়েছে।
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ফোর লেন এলাকা পর্যন্ত যানবাহনের সারি সৃষ্টি হয়েছে। ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এসব যানবাহনের চালকরা। শুক্রবার দুপুরে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
জেলা পুলিশ কন্ট্রোল রুমের বিকেলের তথ্য মতে, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ফেরিপারের অপেক্ষায় রয়েছে পাঁচ শতাধিক যানবাহন। আটকে পড়া এসব যানবাহনগুলোর মধ্যে দুই শতাধিক যাত্রীবাহী বাস রয়েছে। বাকি তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ফেরিপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
মাগুরা থেকে ছেড়ে আসা ট্রাক চালক মো. রফিকউদ্দীন শেখ বলেন, বৃহস্পতিবার সাড়ে ১১টার দিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। সেখানে সারারাত অপেক্ষা করতে হয়। শুক্রবার বিকেলে আমরা ফেরিপার হয়েছি। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ২০টি ফেরি চলাচল করলে তো এমন ভোগান্তি হওয়ার কথা না। ভেতরে কোনো সমস্যা অবশ্যই রয়েছে।
বাসচালক মো. শিহাব উদ্দীন বলেন, ভেবেছিলাম ঈদের পরে ভোগান্তি দূর হবে। আমরা সরাসরি ফেরিতে যেতে পারবো। ঘাট কর্তৃপক্ষ সেটি করতে পারেনি। বাস যাত্রীদের বর্তমানে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে ফেরির নাগাল পেতে হচ্ছে। তিনি বলেন, এই ভোগান্তিতে মানুষ বাসে যেতে চায় না। বেশিরভাগ মানুষ এখন মোটরসাইকেলে ব্যবহার করে। যেকারণে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে, মৃত্যু বাড়ছে।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দীন বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফেরি চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। বর্তমানে ২০টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই