বগুড়ার ধুনটে এক স্কুল ছাত্রীকে কয়েক দফা ধর্ষণের ঘটনার ২ মাস পর দায়েরকৃত মামলায় মুরাদুজ্জামান (৪৮) নামে এক প্রভাষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে ধুনট বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত মুরাদুজ্জামান ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের শৈলমারী গ্রামের মৃত মতিউর রহমানের ছেলে এবং তিনি চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের জালশুকা হাবিবর রহমান ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক। মুরাদুজ্জামানের স্ত্রীও স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তার ঘরেও একটি মেয়ে রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধুনট পৌর এলাকার দক্ষিণ অফিসারপাড়া এলাকার এক শিক্ষক দম্পত্তির তিন তলা বাসার নিচতলার দক্ষিণ পার্শ্বের ফ্লাটে ভাড়া থাকতেন প্রভাষক মুরাদুজ্জামান। তার উত্তর পার্শ্বের ফ্লাটেই বাড়ির মালিক ওই শিক্ষক দম্পত্তিসহ তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে বসবাস করে আসছে। একসঙ্গে বসবাস করায় বাড়ির মালিকের ছোট ছেলে খেলাধূলা করতে প্রয়াই মুরাদুজ্জামানের ফ্লাটে যাওয়া-আসা করে। আর বড় বোন তার ভাইকে নিতে ওই প্রভাষকের ফ্লাটে যেতো। আর এই সুযোগেই মুরাদুজ্জামান তার বাড়ির মালিকের স্কুলছাত্রী পড়ুয়া বড় মেয়ের দিকে কু-নজর দেয়। এক পর্যায়ে সে ওই মেয়েটিয়ে জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরে মোবাইলফোনে একটি ছবি তোলে। কিন্তু ছবি তোলার পর থেকেই মুরাদুজ্জামান ওই মেয়েটিকে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। এক পর্যায়ে সে ওই ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে গত ৩ মার্চ ওই মেয়েকে তার বাসায় ধর্ষণ করেন। আর এভাবেই সে ওই মেয়েটিকে গত ২৪ মার্চ এবং ৫ এপ্রিল আবারো ধর্ষণ করে। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রটি ধুনটের একটি বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
সর্বশেষ গত ১২ এপ্রিল প্রভাষক মুরাদুজ্জামান কৌশলে ওই ছাত্রীর বাসায় গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে। এসময় চিৎকার দিলে তার খালা এসে মুরাদুজ্জামানকে হাতে-নাতে ধরে ফেললেও সে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটি তার পরিবারের কাছে সম্পূর্ণ ঘটনা খুলে বললে তার মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ধুনট থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, মামলা দায়েরের পরপরই অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত মুরাদুজ্জামানকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম