‘রাত তখন প্রায় ১টা। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে জেগে উঠি। আলো জ্বালিয়েই দেখতে পাই আম্মু ঝুলে আছেন আড়ার সঙ্গে। ওই সময় আমার চিৎকারে পাশের বাড়ির লোকজন ছুটে আসেন’।
কথাগুলো বলছিলেন বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার সানকিভাঙ্গা গ্রামের সালাম শেখের ছেলে নাঈম শেখ (২০)। শুক্রবার দিবাগত রাতে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মা ঝর্না বেগমকে (৪৫) দেখতে পান তিনি। রাতে বাড়িতে ঝর্না বেগম ও তার
এই প্রতিবন্ধী ছেলে নাঈম ছাড়া কেউ ছিলেন না।
নাঈম বলেন, ‘রাত ১০টার পরে আমি ও আম্মু আলাদা জায়গায় ঘুমিয়ে পড়ি। ১ টার দিকে জেগে দেখি খাটের পাশে আড়ার সঙ্গে আম্মু ঝুলে আছেন। কয়েকদিন ধরে আম্মু কম কথা বলতেন। তার মন খারাপ দেখেছি। কিন্তু কী হয়েছিল, তা বুঝিনি।’
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘শনিবার সকালে ঝর্না বেগমের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তার মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের জন্য পোস্টমর্টেম করাতে মরদেহ বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ