দেশে পতাকা উত্তোলনের নিয়ম অনুযায়ী, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে। সন্ধ্যার আগেই পতাকা নামিয়ে ফেলতে হবে। কিন্তু টাঙ্গাইলের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও জাতীয় পতাকাটি নামানো হয়নি। দিন রাত ২৪ ঘণ্টাই উড়তে দেখা গেছে জাতীয় পতাকাটি।
মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার সময় গিয়েও জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, টাঙ্গাইলের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জাতীয় পতাকাটি রাত পৌনে ৯টার সময়ও উড়ছে। সে সময় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কাউকে পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে বেশ কয়েকজন অ্যাম্বুলেন্স চালক বলেন, পতাকাটি রোজার ঈদের আগে উত্তোলন করা হয়েছে। তারপর আর নামানো হয়নি। আমরা প্রতিদিনই পতাকাটি রাতেও দেখি।
প্রত্যক্ষদর্শী রাকিব বলেন, রাতে পতাকা টানিয়ে রাখা মানে বাংলাদেশের পতাকাকে অবমাননা করা। আর পতাকাকে অবমাননা করা মানে, আমাদের দেশকে অবমাননা করা।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক বলেন, এ রকম হওয়া উচিত না।
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি আনিসুর রহমান (দাদুভাই) বলেন, ৩০ লাখ শহীদ, ২ লাখ মা বোনের ইজ্জত/সম্ভ্রম আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমাদের এ স্বাধীন দেশ, স্বাধীন পতাকা। এই পতাকার অবমাননা করা মানে জাতিকে অবমাননা করা।
এ বিষয়ে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ আলী খান মুঠোফোনে বলেন, আমার অফিসের আউটসোর্সিংয়ের নজরুল নামের একজন কর্মচারীকে পতাকা উঠানো ও নামানোর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সে অসুস্থ। তাই হয়তো এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি বলেন, এটি একটি অন্যায়, এই ঘটনায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত
