মাছ আহরণে ৩ মাসের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে সুন্দরবনে অবৈধভাবে প্রবেশ করে বাগদা ও গলদার চিংড়ির রেণু পোনা আহরণের সময় ১২ জেলেকে আটক করেছে বনরক্ষীরা। বুধবার রাতে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা স্টেশনের আড়াইবেকী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
এসময় জেলেদের কাছ থেকে ৪টি নৌকা, ৮টি চিংড়ি রেণু পোনা ধরা নেট জাল, ৪টি সোলার প্যানেল, ৪টি ব্যাটারিসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আটক জেলেরা হলেন-বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের খালেক জমাদ্দার (৬৬), মিরাজ হাওলাদার (৬৫), ছগির হাওলাদার (৪৩), সামাদ হাওলাদার (৩২), মালেক জমাদ্দার (৫০), জলিল হাওলাদার (৪৫), ছিদ্দিকুর রহমান (৪০), রফিকুল হাওলাদার (৩৮),হালিম পহলান (৪০), শরণখোলা গ্রামের নজরুল হাওলাদার (৪২), ইসমাইল হাওলাদার ও উত্তর সাইথখালী গ্রামের হাবিব শেখ (৫০)।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. আসাদুজ্জামান জানান, মাছের প্রজনন মৌসুম শুরু হওয়ায় ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে মৎস্য আহরণে ৩ মাসের নিষেধাজ্ঞা চলছে। মাছ আহরণে এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে এসব অসাধু জেলেরা অবৈধভাবে সুন্দরবনে প্রবেশ করে বাগদা ও গলদা চিংড়ির রেণু পোনা আহরণের জন্য সংরক্ষিত বনে প্রবেশ করে। গোপন সংবাদের মাধ্যমে এই তথ্য জানার পর নিয়মিত টহলরত স্মার্ট প্যাট্রলিং টিমের সদস্যরা ১২ জেলেকে আটক করে। আটক জেলেদের বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে পাঠালে বিচারক তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই