কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে ফের নদনদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে জেলার সদর, রৌমারী, রাজিবপুর ও রাজারহাট উপজেলার ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে কিছু কিছু নিম্নাঞ্চলে পানি উঠে প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ফলে এসব এলাকার মানুষজনের ঘরবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে।
রবিবার দুপুুরে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসন এখনও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি বলে জানায়। তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আবারো নদনদীর পানি ক্রমেই বাড়ার আশংকা করা হচ্ছে।
এদিকে, ব্রহ্মপুত্রসহ তিনটি নদীর পানি বাড়ায় চর ও দ্বীপচরে পানি উঠে অর্ধশতাধিক হেক্টর ফসলী জমি তলিয়ে গেছে বলে জানা যায়। সেই সাথে কিছু কিছু এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। চিলমারী উপজেলার প্রত্যন্ত চরের দক্ষিণ খাউরিয়া স্কুল এন্ড কলেজ নদী ভাঙনে ইতোমধ্যেই বিলীন হওয়ার পথে।এছাড়াও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান নদীভাঙনের কবলে পড়েছে। এতে সেখানকার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ পড়েছেন বিপাকে। এছাড়াও রৌমারী ও সদরের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে পানি ঢুকে পড়ায় শিক্ষা কার্যক্রম কিছুটা ব্যাঘাত ঘটছে বলে জানা গেছে রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের পুরাতন যাদুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি ঢুকে পড়ায় বিদ্যালয়ে যেতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা। ৎ
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা: দেলোয়ারা বেগম জানান, হঠাৎ নদীর পানি বেড়েছে। ফলে বিদ্যালয়ে পানি ঢুকে পড়ায় শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে আপাতত নিষেধ করেছি।
রৌমারী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশারাফুল আলম জানান, নদীর পানি বাড়লেও এখনও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/এএম