নেত্রকোনায় চলছে ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি। কিন্তু চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল বরাদ্দ। যে কারণে জনপ্রতিনিধিদের শুনতে হয় না পাওয়ার নানা অভিযোগ। তালিকায় নাম নেই জেনেও অনেকে সড়কের পাশে বসে রয়েছেন, যদি চেয়ারম্যান কোনো ব্যবস্থা করে দেন এই আশায়। এদিকে, হুমড়ি খেয়ে পড়া মানুষের মাঝে পণ্য বিক্রি করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় বিক্রেতাদের।
তবে নেত্রকোনা জেলা সদরের মদনপুর ইউনিয়নে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে বুধবার দিনভর চলছে পণ্য বিক্রি। ডিলাররাও খুশি সুষ্ঠুভাবে সবার মাঝে পণ্য বিতরণ করতে পেরে। দুই লিটার তেল, দুই কেজি ডাল ও এক কেজি চিনি ৪০৫ টাকায় নিতে পেরে খুশি ক্রেতারা। তবে এলাকাবাসী বরাদ্দ অপ্রতুল থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানান।
প্রশাসনের বাণিজ্য শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আরা জানান, জেলায় মোট ১৭০৪৩৭ জনের বারদ্দ এসেছে। জেলার ৮৬টি ইউনিয়নে ৪২ জন ডিলারের মাধ্যমে এই পণ্য বিক্রি চলছে। গত ২৬ জুন ১৪৭৩৩ জনকে, ২৭ জুন ১৫৪৬৫ জনকে, ২৮ জুন ১২৪৩০ জনকে ও ২৯ জুন ১৫৭৩৮ জনকে দেওয়া হয়েছে।
ট্যাগ অফিসার সুজিত গোস্বামী জানান, বুধবার কার্ডধারী ৫০০ জনের মাঝে দিচ্ছেন এই পণ্য। এর আগে দেওয়া হয়েছে ৬৬৭ জনকে। কোনো রকম বিশৃঙ্খলা ছাড়াই দেওয়া হচ্ছে পণ্য।
তবে নেত্রকোনা সদর উপজেলার ১২ নম্বর মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান ফারাস দিলীপ জানান, আমার ইউনিয়নে এই পণ্য পাওয়ার উপযুক্ত ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষ। কিন্তু কার্ড হয়েছে ১১৬৭ জনের। অন্যরা তো কষ্ট পাবেই। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেই। তবে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই তিনি যে মানুষকে এভাবে ভর্তুকি দিয়ে কিছু মানুষকে হলেও ঈদ উদযাপন করার সুযোগ করে দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমার এখানে সবাইকে বলেছি, যারা দুই তিন বার টিসিবির পণ্য পেয়েছেন। পরে তাদের রেখে যারা পাননি তাদের দেওয়া হবে। এটা সবাই মেনে নিয়েছেন। এই সিস্টেম যদি করতে পারি, তাহলে অন্তত কমবেশি শতভাগ না হলেও ৮০ ভাগ মানুষকে এর আওতায় আনতে পারবো।
বিডি প্রতিদিন/এমআই