মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের পাতিলাপাড়া এলাকার ঐতিহ্যবাহী আবদুর রহমান খান উচ্চ বিদ্যালয় নদী ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। গত কয়েক বছর ধরে ধলেশ্বরী নদী ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় এই এলাকার অনেক বাড়িঘর ও কৃষি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এবার পানি বাড়ার সাথে নদী ভাঙ্গন আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। আর মাত্র কয়েক মিটার নদী ভাঙ্গলে এলাকার একমাত্র বিদ্যালয়টি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এখনই ভাঙ্গনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা না নিলে আজিমনগর বিদ্যালয়ের মতো যেকোনো সময় এই বিদ্যালয়টি নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
স্থানীয় শিক্ষক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক বছরে এলাকার পঁচিশ-ত্রিশটি বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এবারও নদীতে বাড়িঘর ভেঙ্গে যাচ্ছে। সেই সাথে বিদ্যালয়টি ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আরিফা আক্তার বলে বিদ্যালয়টি নদীতে ভেঙ্গে গেলে আমার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
আব্দুর রহমান খান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ আতাউর রহমান বলেন, কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে একমাত্র স্কুল এটি। লেখাপড়া, খেলাধুলা সহ সকল ক্ষেত্রেই সুনাম রয়েছে এই বিদ্যালয়ের। বিদ্যালয়ে আট-শতাধিক শিক্ষার্থী ও ১৬ জন শিক্ষক রয়েছেন।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল ইসলাম খান কামাল বলেন, ভাঙ্গনরোধে মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। পানি ও স্রোত আরও বৃদ্ধি পেলে এসব ব্যবস্থা টিকবে না। শুষ্ক মৌসুমে স্থায়ী ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানান তিনি।
ধলেশ্বরী নদী ভাঙ্গনের বিষয় মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাইন উদ্দিন জানান, ধলেশ্বরী নদী ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। অনুমোদন পেলেই স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর