সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় হাফিজুর রহমান নামে এক অটোরিকশা যাত্রীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এসময় হাফিজুরের ভাইসহ অটোরিকশা চালককে মারধর করা হয়।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার নারায়ন শালুয়া (নওদাশালুয়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে চারজনের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউপির চন্ডিদাস গ্রামের সোনাউল্লাহর ছেলে কাইয়ুম আলী (২৫), তার ভাই হাফিজুর রহমান ও হাফিজা খাতুনসহ পরিবারের লোকজন একটি অটোরিকশা করে ছোট বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। পথি মধ্যে সুজন খানের বাড়ির সামনে পৌঁছালে অটোরিকশার সাথে সুজনের সিএনজির সামান্য ধাক্কা লাগে। এতে সুজন ক্ষিপ্ত হয়ে অটোরিকশা চালককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
এ সময় অটোরিকশা যাত্রী হাফিজুর রহমান গালিগালাজের প্রতিবাদ করলে সুজন তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। একপর্যায়ে সুজন তার বাবা আলী আমজাদ খান ও তার দুই ভাই রাজু খান ও রনি খানকে ডেকে আনে। এরপর তারা অটোচালক রিপন, হাফিজুর ও তার ভাইকে মারধর করে। এসময় আলী আমজাদ তার হাতে থাকা হাঁসুয়া দিয়ে হাফিজুরকে মাথায় কোপ মারে। এতে হাফিজুরের মাথা অনেকাংশ কেটে যায় এবং সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে ভর্তি করে। হাফিজুরের মাথায় পাঁচটি সেলাই পড়েছে। এ ঘটনায় হাফিজুরের ছোট ভাই কাইয়ুম আলী বাদী হয়ে সোমবার বিকেলে রায়গঞ্জ থানায় হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করে।
অন্যদিকে, মামলা দায়েরের সংবাদ পাওয়ার পর মঙ্গলবার দুপুরে সুজন ও তার বাবা রায়গঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, হাফিজুরকে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। আর অভিযুক্ত সুজনরা যে অভিযোগ দিয়েছে, সেটিও তদন্ত করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই