বরিশালের উজিরপুরে ২ সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার পর ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে স্বামীর পরিবারের বিরুদ্ধে। বুধবার ভোর রাতে ওই উপজেলার বড়াকোঠা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। গৃহবধূর স্বামী স্বপন ব্যাপারী আত্মগোপন করেছে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, ১৩ বছর আগে বড়াকোঠা গ্রামের স্বপন ব্যাপারীর সাথে একউ উপজেলার হস্তিশুন্ড গ্রামের বজলু হাওলাদারের মেয়ে রুবিনা আক্তারের (৩০) বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্যে দুটি ছেলে রয়েছে।
রুবিনার ভাই মো. রাসেল জানান, তার বোনের স্বামী স্বপন পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্যে কলহ চলছিলো। বিষয়টি একাধিকবার মিমাংসা করে দেয় উভয় পরিবার ও স্থানীয়রা। মঙ্গলবার রাতে স্বামী স্বপনের মোবাইল ফোনে একটি ক্ষুদে বার্তা নিয়ে ফের দুই জনের মধ্যে বাকবিতান্ডা শুরু হয়। একপর্যায় স্ত্রীকে নির্যাতন এবং শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার প্রচার চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রুবিনার ছেলে রাহাত বেপারী জানান, বাবার সাথে অন্য এক মেয়ের প্রেমের বিষয় নিয়ে মায়ের ঝগড়া হয়েছে। পরে মাকে বিছানার পাশে আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তারা। রুবিনা হত্যার বিচার দাবি করেছেন তার বাবা বজলু হাওলাদার। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার কথা বলেন তিনি।
উজিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোমিন উদ্দিন জানান, বুধবার সকালে রুবিনার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্টে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় মৃতের পরিবার অভিযোগ দিলে সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/এএ