বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির ৬ জন সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্য স্থান পেয়েছেন হত্যাচেষ্টা, অপহরণ, মাদকসহ একাধিক বিচারাধীন মামলার আসামি আব্দুল্লাহ আল-মারজান। মারজানকে ২০১৮ সালের ১১ আগষ্ট ইয়াবাসহ আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯৯০ সালের (সংশোধনী -২০০৪) এর৯(১০)/১৯ ধারায় দায়ের করা মামলা বিচারাধীন। ২০১২ সালের ১৯ এপ্রিল মঠবাড়িয়া থানায় অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা (মামলা-নং-১৩) মামলা বিচারাধীন। এছাড়াও রয়েছে মঠবাড়িয়া ও পাথরঘাটায় একাধিক মামলা।
মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক হোসনেয়ারা রাণীর বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনার মামলাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ধরনের একজন চিহ্নিত অপরাধী কী করে ছাত্রলীগের জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন তা জানতে চাইলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আ. রশিদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, স্থানীয় নেতারাই তালিকা দিয়েছেন। যার সবটা যাচাই -বাছাই করা সম্ভব হয়নি। তবে কারও বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের নিকট আসলে অবশ্যই তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও আব্দুল্লাহ আল-মারজানকে পাওয়া যায়নি।
মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক হোসনেয়ারা রাণী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের সভানেত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতেই এই ধরনের চিহ্নিত অপরাধীদের বিশেষ ব্যক্তির তদবীরে জেলা ছাত্রলীগে নেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের নিকট দাবি করছি, অবিলম্বে মারজানকে দল থেকে বহিষ্কার করুন, ছাত্রলীগের ঐতিহ্য রক্ষা করুন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল