জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে সড়ক পরিবহনে। গত শুক্রবার রাতে সরকার সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারির পর গতকাল শনিবার বরিশাল থেকে বিভিন্ন রুটের বাস ভাড়া ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। অপরদিকে পণ্য পরিবহন এবং স্থানীয় বিভিন্ন রুটের থ্রি-হুইলার ভাড়াও বেড়েছে। তবে আগের নির্ধারিত দরেই বাস ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে দাবি বাস মালিক সমিতি নেতাদের।
শুক্রবার রাতেও ঢাকা থেকে বরিশালগামী এসি বাসে সিট ভাড়া আদায় করা হয়েছে ৬০০ টাকা। গতকাল শনিবার বরিশাল-ঢাকা রুটে বাস ভাড়া আদায় করা হয় ৭০০ টাকা। নন এসি বাস ভাড়াও সিটপ্রতি ৫০ টাকা হারে বেশি আদায় করা হচ্ছে। একইভাবে বরিশাল-খুলনা, যশোর, বগুড়া, রংপুর, বগুড়া, চাপাইনবাবগঞ্জ এবং রাজশাহী সহ দূর পাল্লার সব রুটে আগের চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।
একইভাবে পণ্য পরিবহনেও খরচ বেড়েছে। বরিশালের স্থানীয় বিভিন্ন রুটে চলা থ্রি হুইলার ভাড়াও বাড়ানো হয়েছে। সরকার ভাড়া না বাড়ালেও লোকসান এড়াতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কথা জানিয়েছেন সংশ্লিস্টরা।
পরিবহন শ্রমিক মো. ইমাম জানান, শুক্রবার রাতে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণার পর ওই রাতে বেশিরভাগ ফিলিং স্টেশন বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে শুক্রবার রাতে জ্বালানি তেল নিতে পারেননি তারা।
এদিকে বরিশাল বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি গোলাম মাশরেক বাবলু জানান, তারা বাস ভাড়া বাড়াননি। সরকার নির্ধারিত আগের দরেই টিকেট বিক্রি করছেন তারা।
অপরদিকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে এখন পর্যন্ত লঞ্চ ভাড়া না বাড়লেও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামী ১০ আগস্ট বিআইডব্লিউটি কর্তৃপক্ষের সাথে সভায় বসছে লঞ্চ মালিক সমিতির নেতারা। ওই সভায় নতুন ভাড়া নির্ধারণ এবং কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন লঞ্চ মালিক সমিতির সদস্য মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌস।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল