শরণখোলায় বিকে মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গোপনে ম্যানেজিং কমিটি গঠন ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়টির অভিভাকবৃন্দ। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শরণখোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তারা।
অভিভাবকবৃন্দের পক্ষে উত্তর খোন্তাকাটা গ্রামের মো. শহিদুল ইসলাম লিখিত অভিযোগে জানান, ১৯৯৪ সালে উত্তর খোন্তাকাটা গ্রামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এলাকার নারী শিক্ষার প্রসার ঘটে। কিন্তু বর্তমান প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম মীর চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগে বানিজ্য করার জন্য গোপনে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করেছেন। কাউকে না জানিয়ে কাগজপত্রের মাধ্যমে তার পছন্দের ব্যক্তি মো. দেলোয়ার হোসেন হাওলাদারকে কমিটির সভাপতি নির্বাচন করেছেন।
এরপর প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি মোটা অঙ্কের ঘুষ গ্রহন করে গোপনে পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নৈশপ্রহরী ও নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করেন। বিষয়টি প্রকাশ পেলে বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও স্থানীয়রা হতবাক হন। কমিটি গঠন থেকে শুরু করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সবই তারা গোপনে করেছেন। এ ব্যপারে তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবকবৃন্দ ও জমিদাতা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম মীর বলেন, বিদ্যালয়ের সব কিছু যথাযথ নিয়োমেই সব কিছু করা হয়েছে। কিছু না জেনে অভিভাবকবৃন্দ ও জমিদাতা সদস্যরা আমার ও স্কুল সভাপতির বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ