পঞ্চগড়ে সারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ডিলারের ঘর থেকে সার সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশ জনতা সংঘাত বেধে যায়। মঙ্গলবার দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার টুনিরহাট এলাকায় বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজের সামনে এমন চিত্র দেখা যায়। কৃষকদের সামলাতে না পেরে পুলিশের সহযোগিতায় পরে লাইনে দাঁড়িয়ে সার বিতরণ করা হয়। কিন্তু সার না পেয়ে হতাশায় বাড়ি ফিরে যায় অনেক কৃষক। গত কয়েকদিন ধরে সার সরবরাহ না থাকায় পঞ্চগড়ে সারের জন্য এক ধরনের হাহাকার চলছে। গত কিছুদিন ধরে উপজেলা সদর থেকে সার উধাও । সার পেতে হয়রানি ও হন্য হয়ে ঘুরছেন কৃষকরা। জমিতে সার না দেওয়ায় রোপা আমনের চারা ইতিম্যধে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত সার সরবরাহের দাবি জানিয়ে প্রশাসনের দারস্থ হচ্ছে কৃষকরা কিন্ত কোন ফল নেই। চলতি বছর
জেলায় আমন ধান রোপনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লক্ষ ১০ হাজার হেক্টর জমিতে।
আমনের চারা রোপণ প্রায় শেষ। ভাল ফলনের জন্য প্রয়োজন সার কিন্তু কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী সার দিতে পারছেনা তারা। তবে বস্তায় ৩-৫ শ টাকা বেশি দিলে মিলছে খুচরা দোকানে।
কৃষকদের অভিযোগ বিসমিল্লাহ এন্টার প্রাইজের প্রোপাইটর নবীর হোসাইন সার কৃষকের কাছে বিক্রি না করে, গোপনে চোরাই পথে বিক্রি করে দেয়।
সরকার পাড়া এলাকার কৃষক আবুল কালাম জানান, সার নিতে ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি এখন ১টা বাজে কোন খবর নাই। এর আগে বৃহস্পতিবার আসে ঘুরে গেছি সার নাই।
কৃষক আবু তাহের জানান, জমিতে চার বস্তা সারের প্রয়োজন। কিন্তু ডিলারের কাছে সার পাইনি।
কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা রাজিউর রহমান জানান, চাহিদার তুলনায় সার অনেক কম হওয়ায় সবাইকে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক দ্বীন মোহাম্মদ জানান,কৃষকরা সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল, ১০টা পার হলেও স্লিপ না পাওয়ায় লাইন ভেঙ্গে সবাই গুদামে ঢুকে যায়। পরে সামলাতে না পারে আমাদের সহযোগিতায় কৃষকদের লাইনে দাঁড়িয়ে সার বিতরন করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএ