অভাবের তাড়নায় ছেলে বিক্রির চেষ্টায় আলোচিত মা সোনালি চাকমা ও শিশুপুত্র রামকৃষ্ণ চাকমার (৬) পাশে দাঁড়িয়েছে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন। রবিবার প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস তার দপ্তরে সদর উপজেলার পাকুজ্যাছড়ি গ্রামের অসহায় এই নারীর হাতে এক লাখ টাকার চেক তুলে দেন।
এছাড়া সোনালী চাকমাকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ২ লাখ ৬০ হাজার টাকার দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি ঘর প্রদান, শিশুপুত্র রামকৃষ্ণ চাকমার ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারি শিশু পরিবারে রাখা, সোনালী চাকমার চিকিৎসা ও তাকে প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়ার কথাও জানানো হয়।
এ সময় খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার, খাগড়াছড়ি সমাজসেবা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম, প্রেসক্লাব সভাপতি জীতেন বড়ুয়া, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী ও ৫ নম্বর ভাইবোন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুজন চাকমাসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি বাজারে ছোট ছেলে রামকৃষ্ণকে বিক্রি করতে যান মা সোনালী চাকমা। ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করার প্রস্তাবে দর কষাকষিতে ওঠে ৫ হাজার টাকা। এ সময় সদর উপজেলার কমলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুনীল জীবন চাকমার সহায়তায় রক্ষা পায় রামকৃষ্ণ।
এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা চলছে। ফলে মা-ছেলের পরিণতি মানুষের মনে দাগ কাটে। পরিবারটির জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে ছুটে যান সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা। এসময় তিনি পরিবারটিকে ৬ মাসের খাবার সামগ্রী ও নগদ অর্থ সহায়তা দেন। একই সঙ্গে তাদের একটি সরকারি ঘর দেওয়ার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই