রংপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রায় ১৮ জন। শুরু হয়েছে নানা তোড়জোর। দলীয় মনোনয়ন পেতে যে যার মতো চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সাধারণ মানুষের মাঝেও জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে।
চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পেতে রংপুর জেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থনসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সমর্থন পেতে চেষ্টা তদবির করছেন কমপক্ষে ১৫ থেকে ১৮ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী। তাদের অনেক কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন।
রংপুরে থেকে দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রার্থীরা হচ্ছেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি এ্যাড হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও সহসভাপতি এ কে এম শাহাদাত হোসেন বকুল, বর্তমান প্রশাসক এ্যাড ছাফিয়া খানম, জেলা আওয়ামী লীগের দুই সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ইলিয়াস আহমেদ, রোজী রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহ নবী উল্লাহ পান্না, শামীম তালুকদার, রেজাউল করিম মিলন, এ্যাড দিলশাদ ইসলাম মুকুল, জেলার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন মণ্ডল মওলা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম প্রামাণিক, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা লতিফুর রহমান মিলন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ জানান, তিনি চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন চাইবেন। দল যদি তাকে মনোনয়ন দেন তা হলে তিনি নির্বাচন করবেন। নির্বাচিত হলে উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন।
বর্তমান প্রশাসক এ্যাড ছাফিয়া খানম জানান, দল চাইলে তিনি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।
মহানগরের আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিলন বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে বাল্যকাল থেকে জড়িত। ছাত্রলীগের রাজনীতির ধারা এখনো আমার রক্তে মিশে আছে। জামাত-শিবির বিরোধী আন্দোলন করার কারণে অসংখ্য মামলায় জড়িয়ে আমার শিক্ষাজীবন স্তব্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। রংপুরে উন্নয়ন তরান্বিত করা আশায় আমি মনোনয়ন প্রত্যাশী।’
মহানগর আওয়ামী লীগের কোতয়ালী থানা সহ-সভাপতি, সাবেক ছাত্র নোতা ও সংগঠক লতিফুর রহমান মিলন বলেন, ‘আমি সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাশী। দল মনোয়ন দিলে সিটিতে মেয়র পদে অথাবা জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করব। পিছিয়ে পড়া এই এলাকার মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে চাই। তাই আশা করছি দল আমাকে মনোয়ন দিবে।’
দলের একাধিক সিনিয়র নেতাদের সাথে কথা হলে তারা জানান, সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ও বিভিন্ন জরিপে যাদের জনপ্রিয়তা রয়েছে তারাই দলের সমর্থন পাবেন। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন বোর্ডের সভায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে। ওই দিন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড এবং স্থানীয় সরকার জনপ্রনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভায় প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।
দেশের ৬১টি জেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ আগামী ১৭ অক্টোবর। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ১৫ সেপ্টেম্বর, মনোনয়ন পত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর। রংপুর জেলার একটি সিটি করপোরেশন, তিনটি পৌরসভা, আট উপজেলা এবং ছিয়াত্তরটি ইউনিয়ন মিলে ভোট জনপ্রতিনিধি ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৯৫ জন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল