বগুড়ায় ডিমের দাম আবারও বাড়তে শুরু করেছে। গত দুই দিনের ব্যবধানে ডিমের দাম হালি প্রতি দুই টাকা করে বেড়েছে। সোমবার ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা হালি ডিম বৃহস্পতিবার বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় ডিমের দাম আবারও বাড়ছে বলে ভোক্তারা অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর বগুড়ায় হু হু করে বাড়তে থাকে ডিমের দাম। ডিমের দাম বেড়ে ৫০ টাকা হালি বিক্রি হয়। বগুড়ার বাজারে গত এক দশকে সবচেয়ে বেশি ডিমের দাম ছিল এটি। আগস্ট মাসে ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ার পর জেলা প্রশাসন থেকে বাজার ব্যবস্থায় মনিটরিং শুরু হলে ডিমের দাম কমতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ডিমের দাম কমে ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা হালি বিক্রি শুরু হয়। তবে গত দুই দিনে ডিমের দাম ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। প্রতি হালিতে ৩৬-৩৮ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের দাম বাড়ানো বা কমানোর ক্ষেত্রে তাদের কোনো হাত নেই বলে দাবি করেছে ব্যবসায়ীরা। দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা মুরগির খাবারের দাম না কমা এবং বাড়তি পরিবহন খরচকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।
বগুড়া শহরের ডিম বিক্রেতা হোসেন আলী জানান, মুরগির ফার্ম থেকে একটি ডিম ৯ টাকার উপরে কিনতে হচ্ছে। সেই ডিম বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা করে। খুব বেশি লাভ করা হচ্ছে না। মুরগির খাবার হিসেবে ফিডের দাম না কমায় বেশি দামে ডিম কিনতে হচ্ছে খামারিদের কাছ থেকে। ডিমের বাজার অস্থিতিশীল হবার কারণে বেচাকেনা কমে গিয়েছে। সোমবার থেকে ৪০ টাকা হালি ডিম বিক্রি করতে হচ্ছে দাম বাড়ার কারণে।
ডিম বিক্রেতা খলিল মিয়া জানান, খামারিদের থেকে এখন আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ডিম। এজন্য ৪৫ টাকা হালি বিক্রি করছি। তবে দামের তারতম্যের কারণে ক্রেতারাও বিভ্রান্তিতে রয়েছে। আমাদের বিক্রি করতেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। কেউ যদি ইচ্ছা করে ডিমের বাজারে অস্থিরতা তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা