মেহেরপুরে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার কথা বলে ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে সোনালী ফাউন্ডেশন নামে একটি ভুয়া এনজিওর বিরুদ্ধে।
স্থানীয়দের অভিযোগ “মানবতার সেবায় আমরা গড়বো আগামীর দিন”-এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার পরিচয় দানকারী শাহিদ আলী মেহেরপুর শহরের যাদবপুর ব্রিজের কাছে বিপুল মিয়ার বাসা ভাড়া নিয়ে সোনালী ফাউন্ডেশন মেহেরপুর ব্রাঞ্চ খুলে বসে। তিনি স্বঞ্চয়ের ১০ গুণ ১২% সুদে মাত্র তিন দিনের মধ্যে ঋণ দেবার প্রলোভণ দেন স্থানীয় ব্যবসায়ীদের।
ব্যবসায়ীরা সহজ শর্তে অধিক পরিমাণ ঋণ নেওয়ার জন্য শাহিদের কথায় মেহেরপুর পশু হাসপাতাল পাড়ার আনোয়ার হোসেনের ছেলে হেলাল উদ্দিন ও আমঝুপি গ্রামের সাথি খাতুরের ১ লাখ টাকা, মেহেরপুর সদর উপজেলার চকশ্যামনগর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে রমজান আলী ২০ হাজার টাকা, যাদবপুর দক্ষিণ পাড়ার মিরাজুল ইসলামের স্ত্রী আশরাফুন্নেসা ১০ হাজার টাকা, গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে রিপন ৭৮ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন এলাকার শতাধিক ব্যক্তি টাকা জমা দেয়। সব মিলিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হবে বলে জানান গ্রাহকরা।
কথা ছিলবৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) তাদেরকে ঋণ প্রদান করা হবে। কিন্তু মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সকালের দিকে শাহিদের কাছে ফোন করলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ নিয়ে সকলের সন্দেহ হয়। পরে গ্রাহকরা সোনালী ফাউন্ডেশন অফিসে এসে দেখে অফিস তালা মারা। কোনও লোকজন সেখানে নাই। এ ঘটনা প্রচারিত হওয়ার পর অফিসের সামনে ঋণ নেওয়ার জন্য জামানত প্রদান কারীদের ভিড় জমাতে থাকে। এসময় বাড়ির মালিক বিপুলকেউ সেখানে পাওয়া যায়নি।
সোনালী ফাউন্ডেশনের ম্যানেজার শাহিদ আলীর সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে এ ধরনের এনজিও থেকে সাবধান থাকার পরামর্শ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওবাইদুল্লাহ।
সমাজ সেবা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক জানিয়েছেন, সোনালী ফাউন্ডেশন নামে কোনও এনজিওর নিবন্ধন তাদের দপ্তরে নেই।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ