ফরিদপুরে মিতু সোম (২৫) নামে এক গৃহবধূকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে।
সূত্র জানিয়েছে, সোমবার সকালে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিতুকে মারধর করে হাতে বিষের বোতল ধরিয়ে আত্মহত্যার কথা বলে। মিতু সেই বিষের বোতল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে কানাইপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে তা পান করে। স্থানীয়রা মিতুকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় মিতুর স্বামী সঞ্জয় মিত্র, শাশুড়ি জয়ন্তী মিত্রকে আসামি করে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা করা হয়।
মিতুর পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার কমলেশ্বর্দী গ্রামের অমল সোমের মেয়ে মিতু সোমের বিগত ৯ বছর আগে বিয়ে হয় রাজবাড়ী জেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মৃত সন্তোষ মিত্রের ছেলে সঞ্জয় মিত্রের। পারিবারিক জীবনে মিতু-সঞ্জয় দম্পত্তির সুদীপ্ত মিত্র নামে ৮ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় মিতুকে মারধর করা হতো। মিতু তার পরিবারের কাছে থেকে একাধিকবার টাকা এনে তার স্বামীকে দেয়। সম্প্রতি টাকার জন্য ফের মিতুকে চাপ দেয় তার স্বামী ও শাশুড়ি। এ নিয়ে গত শনিবার মিতুকে ব্যাপক মারধর করা হয়।
মারধর ও টাকা দাবির বিষয়টি ফোনে মিতু তার পরিবারকে জানায়। সোমবার পর্যন্ত টাকা এনে দিতে না পারায় সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ফের মিতুকে মারধর করা হয়। মিতু ও তার শিশু সন্তানকে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক বের করে দেয় স্বামী সঞ্জয় ও শাশুড়ি জয়ন্তী মিত্র। বাড়ি থেকে বের করার সময় মিতুর হাতে একটি বোতল দিয়ে বলা হয়, ‘তুই বিষ খেয়ে মর’।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের কেউ বাড়িতে না থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কোতয়ালী থানার ওসি এম এ জলিল জানান, আত্মহত্যার প্ররোচনার বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল