মুন্সিগঞ্জ সদরের আধারা এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ১ জন নিহতসহ ১০ গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এলাকায় মোতায়েন করা রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য। এদিকে সংঘর্ষে নিহত একপক্ষের মনির হোসেন মোল্লার (৬৫) বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। স্বজনহারাদের আর্তনাদের ভারি হয়ে উঠেছে পরিবেশ। এঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
এর আগে সোমবার বিকালে মুন্সিগঞ্জ সদরের আধারা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনির হোসেন মোল্লা (৬৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়। নিহত মনির স্থানীয় বকুলতলা এলাকা মোতালেব মোল্লার ছেলে। সে ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি আলূ হোসেন সরকারে সমর্থক ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে আরো ১০জন। তাদেরকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল রেফার্ড করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, আধারা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ হোসেন ও গত ইউপি নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হক মোল্লা গ্রুপের সাথে ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি অলি হোসেন সরকার গ্রুপের আধিপত্য নিয়ে পূর্ব বিরোধ চলছিলো। সোমবার বিকালে সে বিরোধকে কেন্দ্র করে শোলারচর এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে দুটি পক্ষ। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পরে পাশের বকুলতলা এলাকায়ও। এতে মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুটি পক্ষ। এসময় আব্দুল হক মোল্লা ও সুরুজ গ্রুপের লোকজন গুলি চালালে গুলিবিদ্ধ হয় মনির হোসেন মোল্লাসহ অলি হোসেন গ্রুপের অন্তত ১০ জন। পরে আহতদের উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা গুলিবিদ্ধ সবাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।
এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুমন দেব জানান, ঘটনার পরপরই ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তি কি ধরনের বিস্ফোরকে মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত করা হবে, এবং অস্ত্র ব্যবহার হওয়ার বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশ কাজ করছে। যদি ব্যবহার হয়ে থাকে সে সব অস্ত্র উদ্ধারে আমাদের তৎপরতা থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল