লক্ষ্মীপুরে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে দগ্ধ জোসনা বেগম মারা গেছেন। বুধবার দুপুরে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো দু’জনে। এর আগে, গত ১২ অক্টোবর সদরের উত্তরজয়পুর ইউনিয়নে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে তার মেয়ে আনিকা আক্তার পুড়ে মারা যায়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন শিশুপুত্র রুপম। পুড়ে ছাই হয়েছে তাদের বসতঘরও।
এ ঘটনায় নিহত আনিকার চাচা মো. বাচ্চু বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় দু’জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন আশরাফ আলী রতন ও ইয়াসিন আরাফাত শুভ। নিহত জোসনা স্থানীয় জোড় বাড়ির প্রবাসী আনোয়ারের স্ত্রী। এর আগে, দগ্ধ হয়ে মারা যায় মেয়ে আনিকা।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, গভীর রাতে হঠাৎ আনোয়ারের বসত ঘরে (টিনসেড) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসময় ঘরের ভিতরে আনিকা, তার মা জোসনা ও ছোট ভাই রুপম ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। মুহূর্তেই আগুন ঘরের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এসময় দগ্ধ অবস্থায় মা ও তার শিশু ছেলে বের হলেও আনিকা ঘুমন্ত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। এসময় প্রতিবেশী ও স্বজনদের চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সেখান থেকে উদ্ধার করে জোসনা ও রুপমকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ দিন পর জোসনা বেগমের মৃত্যু হয়।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তহিদুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বসতঘরের অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ জোসনা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এর আগে, অগ্নিদগ্ধ হয়ে তাদের মেয়ে আনিকা মারা যায়। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ জনে। শিশু রুপম চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক