রাত পোহালেই প্রায় সাড়ে সাত বছর পর ঝিনাইদহে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। রবিবার শহরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাঠে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে ঘীরে শহরে চলছে সাজ সাজ রব। পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড, তোরণ এসবে ঝিনাইদহ শহর পেয়েছে এক নতুন রুপ। পদ প্রত্যাশী নেতাদের কর্মী সমর্থকরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ তাদের পছন্দের নেতাদের ছবি দিয়ে পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড বানিয়েছে।
শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে, বিশেষ করে সমাবেশ স্থানের পাশ থেকে মুজিব চত্ত্বর হয়ে পায়রা চত্ত্বর, সার্কিট হাউজ রোড যেখানে নেতাদের চোখ পড়তে পারে এমন সবখানেই লাগানো হয়েছে বিল বোর্ড, ব্যানার, পোস্টার। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। সম্মেলন উদ্বোধন ঘোষণা করবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ। এবার সভাপতি পদে অন্তত ৭ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রত্যাশী রয়েছে ১০ জন। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে ২৫ মার্চ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই এমপিকে সভাপতি, সাইদুল করিম মিন্টুকে সাধারণ সম্পাদক করে তিন বছরের জন্য ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। এরপর দীর্ঘদিন অতিক্রান্ত হলেও কোনো সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি।
এ সম্মেলনকে ঘিরে সভাপতি পদে একাধিক ব্যক্তির নাম শোনা যাচ্ছে। তারা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম অপু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান ও সহ-সভাপতি তৈয়ব আলী জোয়ার্দারসহ অনেকে। সাধারণ সম্পাদক পদে নাম শোনা যাচ্ছে জেলা আওয়ামী লীগের বর্তামান সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, যুগ্ম সম্পাদক কনক কান্তি দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম ফোটন ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জীবন কুমার বিশ্বাসের।
দলের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ দুটি নির্ধারণ করে থাকেন খোদ দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যাচাই বাছাই করে দলের নেতাকর্মীদের যাদের পারফমেন্স ভালো তাদেরকে দুই শীর্ষ পদে নিয়োগ দিবেন। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এসে সম্মেলনে শুধু আনুষ্ঠানিক ভাবে নাম ঘোষণা করবেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল