কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে রিয়া খাতুন (৯) নামের তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে ওই ছাত্রীর মা, নানা-নানি, ও মামা-মামীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের মধুপুর দুর্গাপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার দুপুরে আসামীদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আসামীরা হলেন- মা মোছা. শিল্পী খাতুন (২৩), মামা রফিকুল ইসলাম (২৮), মামী মোছা. রুনা খাতুন (২৩), নানা মোহাম্মদ আলী (৫২) ও নানী মোছা. রেহেনা খাতুন। তাদেরকে উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের মধুপুর দুর্গাপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
আর নিহত রিয়া খাতুন মধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ও উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের দহকুলা গ্রামের ভ্যানচালক মো.রাইহান ওরফে বাচ্চুর মেয়ে।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে নানা বাড়ির গোয়ালঘর থেকে স্কুল ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এ বিষয়ে ওইদিন রাতেই থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়। শুক্রবার সকালে মরদেহটি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
ময়নাতদন্তে ওই ছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পরে শুক্রবার রাত ১২ টার পরে মা, নানা, নানী, মামা ও মামীকে আসামী করে নিহত ওই ছাত্রীর পিতা মো. রায়হান একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার বাদী ও ওই ছাত্রীর বাবা মো. রায়হান জানান, ' চার বছর আগে মেয়ের মা অন্য একজনকে বিয়ে করেছেন। মেয়ে কখনও মায়ের কাছে, কখনও নানীর বাড়িতে থাকত। হঠাৎ ৬ অক্টোবর খবর পাই মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু আত্মহত্যার কোনো কারণ খুঁজে না পাওয়ায় পোষ্ট মর্টেম করেছিলাম।'
তিনি আরো বলেন, পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারি মেয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। রাতে থানায় মামলা করেছি। আসামীদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।'
কুমারখালী থানার ওসি মো. মোহসীন হোসাইন বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে শ্বাসরোধ করে হত্যার বিষয় উল্লে করা হয়েছে। থানায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় মেয়ের মা, নানা, নানি, মামা ও মামীকে গ্রেফতার করে আতালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক সহায়-সম্পত্তির জেরে রিয়াকে হত্যা করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম